অন্তর্বর্তী জামিন কি পেতে চলেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল? এই প্রশ্ন এখন জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে ঘুরপাক খাচ্ছে। কারণ লোকসভা নির্বাচনে তিনি যাতে নির্বাচনী প্রচার করতে পারেন তাই মিলতে পারে এই জামিন। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে সুপ্রিম কোর্ট। গত শুক্রবার এমনই ইঙ্গিত মিলেছে সুপ্রিম কোর্ট থেকে। আর তার পর থেকে প্রহর গুণছে আম আদমি পার্টির নেতা–মন🔯্ত্রীরা। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ শুক্রবার স্পষ্ট ভায়ায় জানিয়ে দিয়েছে💃, আগামী মঙ্গলবার অর্থাৎ ৭ মে সুপ্রিম কোর্ট দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর অন্তর্বর্তী জামিন মামলার শুনানি করবে।
তাহলে কি ৭ মে জামিন পাবেন কেজরিওয়াল? আম আদমি পার্টির নেতা–মন্ত্রীদের কাছে এই প্রশ্ন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। দিল্লির সাধারণ মানুষও এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চান। কারণ নানা সামাজিক কাজের মধ্য দিয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাই এই জামিনের বিষয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আইনজীবীকে সম্𒆙পূর্ণ প্রস্তুত থাকারও নির্দেশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে আগামী ৭ মে ইডি এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আইনজীবী যেন অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের জন্য তৈরি হয়ে আসেন।
আরও পড়ুন: নেতা–মন্ত্রীদের দেহরক্ষী নিয়ে বড় সিদꦐ্ধান্ত নবান♛্নের, এবার আমূল বদল আসছে নিয়মে
সুতরাং অরবিন্দ কেজরিওয়াল অন্তর্বর্তী জামিন পেতে চলেছেন বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। কারণ তাঁর বিরুদ্ধে তেমন কোনও বড় প্রমাণ আদালতে দিতে পারেনি ইডি। তাই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর অন্তর্বর্তী জামিন মিললে সেটা হবে জাতীয় রাজনীতির বড় খবর। আবগারি মামলায় গত ২১ মার্চ গ্রেফতার হয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তা নিয়ে তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল জাতীয় রাজনীতি। সেখান থেকে মুক্তির জন্য অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিম্ন আদালতে গিয়েছিলেন। 𓆉তাতে স্বস্তি না পেয়ে সর্বোচ্চ আদাℱলতের দ্বারস্থ হন কেজরিওয়াল। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা হল কেন? ইডিকে প্রশ্ন করেছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
এছাড়া এই ঘটনা নিয়ে ইডির উদ্দেশে বিচারপতি বলেছিলেন, ‘স্বাধীনতা যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেটা অস্বীকার করতে পারবেন না কেউ। গ্রেফতারির সময় নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে কেন গ্রেফতার করা হল? জবাব চাওয়া হচ্ছে। এই মামলায় কোনও সংযুক্ত পদক্ষেপ করা হয়নি। যদি সেটা করা হয়ে থাকে, তাহলে অরবিন্দ কেজরিওয়াল তাতে যুক্ত বলে দেখান। বলুন, লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে কেন গ্রেফতার করা হল?’ অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভির বক্তব্য, ‘দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ নেই। এই গ্রেফতার বৈধ নয়। ইডির সমনে হাজিরা দেননি অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তার মানে এই নয় যে তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে।’ তখনই বিচারপতি বলেন, ‘এই মামলায় আরও সময় দিতে হবে। আমরা কেজরিওয়ালের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করত🐎ে পারি। কারণ এখন ভোট চলছে। আগামী ৭ মে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।’