শতাব্দী রায় প্রার্থী। অসিত মালও প্রার্থী। চন্দ্রনাথ সিনহার পিছনে কেন্দ্রীয় সংস্থা লেগে রয়েছে। আর কেষ্ট অর্থাৎ অনুব্রত মণ্ডল এখন তিহাড় জেলে। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূমে সভা করতে এলেন। আর তারপরই কাজল শಞেখ আবার লোকসভা নির্বাচনের মরশুমে বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটিতে ঢুকে পড়লেন। এভাবেই কাজল শেখের প্রাপ্তি যোগ হল। যদিও কাজল শেখ বলেন, ‘আমাকে দলনেত্রী যখন যা দায়িত্ব দিয়েছেন আমি পালন করেছি। আবার কোর কমিটিতে নিয়েছেন। সেই দায়িত্বও পালন করব।’
এই বীরভূমের অন্তর্গত যে দুটি লোকসভা আসন আছে তা বিজেপি দখল করতে চায়। যদিও তাদের সংগঠন এখানে দুর্বল। আর বীরভূমে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধানসভা ভিত্তিক পাঁচ সদস্যের নয়া কোর কমিটি তৈরি করে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই কমিটি থেকে একবার বাদ পড়েছিলেন কাজল শেখ। শুধু তাই নয়, কালীঘাটের বাড়িতে দলের জেলাওয়াড়ি বৈঠকে কাজলকে ধমক দিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী। তখন নেত্রী বলেছিলেন, ༒‘মনে রেখো, দল তোমাকে জেলা সভাধিপতির দায়িত্ব দিয়েছে। আবার সেই দায়িত্ব থেকে সরাতেও পারে। তুমি জেলা পরিষদের সভাধিপতি। গোটা বীরভুম জেলা দাপিয়ে বেড়ানোর দরকার নেই। তোমাকে নতুন কোর কমিটিতে জায়গা দেওয়া হচ্ছে না। প্রয়োজনে ডেকে নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: রায়গঞ্জে দেবের সামনে চেয়ার ছোঁড়াছুড়ি চলল, কেন এমন ঘটল? সꦐামলালেন নেতা
এদিকে কাজল শেখ সংগঠনের নেতা। তিনি বীরভূমে কেষ্টর বিরোধী হলেও হাতের তালুর মতো গোটা জেলাকে চেনেন। এখন যা পরিস্থিতি তাতে কাজলকে দায়িত্ব না দিলে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত ঠেকানো যাবে না। এখানে চতুর্থ দফায় ১৩ মে ভোট আছে। বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে এবং বোলপুরে। আজ, মঙ্গলবার তারাপীঠে নির্বাচনী জনসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সভা শেষ করেই মঞ্চে বসে দলের কোর কমিটির সদস্য়দের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। তখনই সিদ্ধান্ত হয় কাজলের বিষয়ে। বীরভূমে তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির সদস্য আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী কাজল🐼 শেখকে কোর কমিটিতে নিতে বলেছেন। তাই আমরা তাঁকে কোর কমিটিতে নিয়ে নিলাম।’