এখন লোকসভা নির্বাচনের মরশুম চলছে। ষষ্ঠ দফার নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতি চলছে। এই আবহে পুলিশকর্মীদের নানা ডিউটি পড়ছে। শহর থেকে জেলায় এই ডিউটি করতে হচ্ছে পুলিশকর্মীদের। তার মধ্যেই এবার দেখা দিল একটি নজিরবিহীন ঘটনা। বাড়িতে এক মহিলা পুলিশকর্মীর অসুস্থ মা রয়েছে। তিনি নিজেও একটি বৃদ্ধাশ্রম চালান। তাই লোকসভা নির🐷্বাচনের ডিউটিতে যেতে চান না বলে আগেই পুলিশের কর্তাদের জানিয়ে ছিলেন ওই মহিলা পুলিশকর্মী। কিন্তু তারপরও তাঁকে লোকসভা নির্বাচনের ডিউটি দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ফেসবুক লাইভে এসে অঝোরে কাঁদতে শুরু করেন ওই মহিলা পুলিশকর্মী। এমনকী পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, ফেসবুক লাইভে ব্লেড দিয়ে নিজের হাত কাটলেন বীরভূম জেলা পুলিশের ওই মহিলা পুলিশকর্মী।
এই ঘটনায় রীতিমতো আলোড়ন পড়ে যায়। কিছু পুলিশ অফিসারের ব🦹িরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তাঁর মৃত্যুর জন্য তাঁরা দায়ী থাকবেন বলেও সোচ্চার হন। আর তখনই ফেসবুক লাইভেই দেখা গেল তাঁকে নিজের হাত কাটতে। আর তখনই এক মহিলা ছুটে এসে তাঁর হাত থেকে ব্লেডটি নিয়ে নেন। নিজের হাত কেটে জীবন শেষ করার চেষ্টা করলেন বীরভূম জেলা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর ছবিলা খাতুন। পুলিশ সূত্রে খবর, সিউড়ি সাইবার ক্রাইম থানায় পোস্টিং ছিলেন ওই মহিলা এএসআই ছবিলা খ🥂াতুন। তাই ভোটের কারণে তাঁকে বাঁকুড়া ইন্দাসে ডিউটি দেওয়া হয়। তারই প্রতিবাদে বুধবার ফেসবুক লাইভে নিজের ক্ষোভের কথা জানান ছবিলা। লাইভ চলাকালীন হাতে ব্লেডের খোঁচা দেন। আর তাঁর পাশে ফোনে চলতে থাকে, ‘তুঝসে নারাজ নেহি জিন্দেগি, হয়রান হুঁ’ গান।
আরও পড়ুন: ♉‘একুশে খেলা শুরু হয়েছিল এবার শেষ হবে’, নন্দী❀গ্রাম থেকে হুঙ্কার দিলেন অভিষেক
এদিকে ৯ মিনিট ২০ সেকেন্ডের ওই ফেসবুক লাইভ ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যেখানে ওই মহিলা সরাসরি তাঁর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ এনেছেন। ফেসবুক লাইভে ছবিলা অভিযোগ, উচ্চপদস্থ অফিসার🌠দের ‘মন জুগিয়ে’ কাজ না করার জেরে তাঁকে অসুবিধায় ফেলতে এমন ভোটের ডিউটিতে পাঠানো হচ্ছে। এই মহিলা এএসআই ফেসবুক লাইভে বেশ কয়েকজনের নাম নেন। লাইভেই দেখা যায়, ছবিলা হাত কাটতে যাচ্ছেন। কয়েকবার যখন চালিয়ে দেন তখন একজন মহিলা এসে সেই ব্লেড কেড়ে নেন। ছবিলা খাতুনের অভিযোগ, ‘নিজের পারিবারিক অসুবিধা আছে জানানো সত্ত্বেও আমার কথায় কেউ কান দেয়নি। তাই নিজেকে শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’
অন্যদিকে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই পুলিশ মহলেও আলোড়ন পড়ে যায়। যদিও এই বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কেউ কোনও মন্তব্য করেননি। দীর্ঘদিন ধরে বীরভূম জেলায় পোস্টিং রয়েছে🌠ন ওই মহিলা পুলিশকর্মী। এখন তিনি কেমন আছেন? সেই খোঁজখবর শুরু হয়েছে। এই বিষয়ে বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘এই ঘটনাটি আমাদের কানে এসেছে। আমরা গোটা বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত🐻 করে দেখছি।’