আজ, মঙ্গলবার ভোটগণনা শুরু হয়ে গিয়েছে গোটা দেশে। তবে বাংলার অধিকাংশ আসন কার কাছে যায় সেদিকেও নজর রয়েছে সকলের। বুথফেরত সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে বেশি আসন পাবে বিজেপি। যা ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। কিন্তু এই আবহে দেখা যাচ্ছে মুর্শিদাবাদে এগিয়ে চলেছেন বাম–কংগ্রেস ❀জোটের সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম। যিনি নিজেও গতকাল বলেছিলেন, এক্সিট পোল তিনি বিশ্বাস করেন না। সেখানে সকাল থেকেই এগিয়ে রয়েছেন সেলিম। আর তাতেই লালবাড়ির হাসি চওড়া হচ্ছে।
যদিও এটা সবে শুরু হয়েছে। গণনা এখনও অনেকটা বাকি। তবে লোকসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্র কার্যত প্রেস্টিজ ফাইট বামেদের কাছে। স্বয়ং দলের রাজ্য সম্পাদক সেখানে নেমে লড়াই করছেন। আর সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিমের বিরুদ্ধে লড়ছেন তৃণমূল কংগꦆ্রেসের আবু তাহের খান। পোস্টাল ব্যালট গণনা চলছে। আর সেই গণনায় এখনও পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে এগিয়ে রয়েছেন মহম্মদ সেলিম। প্রথম কয়েক রাউন্ডে প্রায় ৪ হাজার ভোটে এগিয়ে আছেন মহম্মদ সেলিম। জয়ের আশা দেখতে শুরু করেছেন। তবে গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত🎀 কোনও কিছুই বলা যাচ্ছে না। যদিও জয়ের আশা করছেন সেলিম।
আরও পড়ুন: ‘শত যুদ্ধের দামামার পরে, তোমার হাসিতে শান্ত সব’, মাঝরাতে 🍰নেত্রীর উদ্দেশে দেবাংশুর পোস্ট
এদিকে মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের ২০২৪ সালের ফলাফলের নিরিখে কে কত ভোটে জয়ী হলেন, কাকে হারিয়ে কে জয়ী হলেন, সেটা স্পষ্ট হয়ে যাবে আর কিছুক্ষণের মধ্যেই। রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লোকসভা আসন এই মুর্শিদাবাদ। মুর্শিদাবাদে এবার লড়াইয়ে রয়েছেন জোট প্রার্থী মহম্মদ সেলিম, তৃণমূলের আবু তাহের খান এবং বিজেপির গৌরীশঙ্কর ঘোষ। এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছিল ৮১.৫২ শতাংশ। মহম্মদ সেলিমের সঙ্গে লড়াই তৃণমূল কংগ্রেসের আবু তাহের খানের। এবার জোর টক্কর দিচ্ছেন সেলিম। তফসিলি জাতি উপজাতি এই কেন্দ্রে ভোটারের হার প্রায় ১২ শতাংশ। সংখ্যালঘু অধ্য়ুষিত এই কেন্দ্রে মুসলিম ভোটারের হার ৬৮.৫ শতাং🌳শ। গ্রামীণ ভোটার ৯৩ শতাংশ। আর শহুরে ভোটার ৬.৪ শতাংশ।
অন্যদিকে ২০১৯ সালে এই 🐻লোকসভা কেন্দ্র থেকে জেতেন আবু তাহের খান। ভোট পান ৬,০৪,৩৪৬। মোট ভোটের ৪১ শতাংশ পান তিনি। তার পরেই ছিলেন কংগ্রেসের আবু হেনা। তিনি ভোট পান ৩৭৭৯২৯ ভোট। মুর্শিদাবাদে প্রথম একঘণ্টায় ভালই টক্ক༒র দিচ্ছেন সেলিম। ভোটের সময় থেকেই দাবাং মেজাজে দেখা গিয়েছিল মহম্মদ সেলিমকে। কখনও ভুয়ো ভোটার ধরেছেন। কখনও আবার তাঁকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত হাসি বজায় থাকবে কি না সেটা সময়ই বলবে।