লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। কিন্তু বাকি শরিকদের সমর্থনে এনডিএ সরকার গড়ে উঠবে🎃। এটা সত্যিই প্রকৃত এনডিএ সরকার। কারণ বিজেপি এখন সংখ্যালঘু। এই আবহে বাংলার দিকে তাকালে বিজেপি জিতেছে ১২টি আসন। আগের বারের থেকে ৬টি আসন কমেছে। আর এই আবহে দেখা যাচ্ছে, লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে সবুজ–ঝড় অব্যাহত। দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্র থেকে আবার জি🍨তলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মালা রায়। কিন্তু খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্রেই এবার জোড়াফুল শিবিরের সঙ্গে সরাসরি টক্কর দিল পদ্মফুল শিবির। এই বিষয় আগে কখনও ঘটেনি।
দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্র বরাবরই তৃণমূল কংগ্রেসের গড় বলেই পরিচিত। ভরা বামফ্রন্ট সরকারের জমানাতেও কোনওদিন এখান থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে পারেনি। বাংলায় পরিবর্তনের আগে পর্যন্ত এই কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর সাংসদ হন সুব্রত বক্সি। আর এখন মালা রায়। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রথমবার দক্ষিণ কলকাতা থেকে জিতেছিলেন মালা রায়। এবার তৃণমূল কংগ্রেস🏅 প্রার্থী মালা রায়ের বিপক্ষে বিজেপির প্রার্থী হন দেবশ্রী চৌধুরী। রায়গঞ্জ থেকে তাঁকে এখানে নিয়ে আসা হয়েছিল। আর সিপিএমের প্রার্থী ছিলেন সায়রা শাহ হালিম। ২০১৯ সা♍লের থেকে বেশি ভোটের ব্যবধান জিতেছেন মালা রায়। কিন্তু বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে চাপে পড়ে যান তিনি। তবে সিপিএমের প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘রাজ্যের সমস্ত মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত দেখতে চাই’,♈ ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কড়া কলকাতা হাইকোর🐽্ট
এদিকে সিপিএম এখানে জিততে না পারলেও বরাবর জোর টক্কর দিত। সেখানে দক্ষিণ কলকাতার প্রার্থী দিয়ে এমন হাল হবে কেউ ভাবেননি। অথচ রায়গঞ্জ থেকে এসে এই দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রে ভাল ভোট টানলেন ꧃দেবশ্রী চৌধুরী। যেখানে দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির তেমন সংগঠনই নেই। ভবানীপুর বিধানসভার বিধায়ক স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। অথচ এই বিধানসভা এলাকায় বিজেপির থেকে মাত্র ৮ হাজার ভোটে এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস। যা ভাবা যায় না। ভবানীপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মালা রায় পেয়েছেন ৬২,৪৬১ ভোট। আর বিজেপির প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী পেয়েছেন ৫৪,১৬৪ ভোট। আর ১৪ হাজার ৬ ভোট পেয়েছে সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম। এমনকী রাসবিহারী বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির ভোটের ব্যবধান আরও কম। মাত্র ১ হাজার ৬৯১।
গ্রামবাংলা থেকে শহর, শহরতলি সব জায়গায় ঘাসফুল ঝড় বইছে। সেখানে শক্তিশালী সংগঠন থ💖াকলেও এমন টক্কর বিজেপি দেওয়ায় সেটা নিয়ে রীতিমত চর্চা করতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কোন অঙ্কে ভোট পেল বিজেপি সেটাই ভাবার বিষয়। এটা অবশ্য অনুসন্ধান করছে সিপিএমও। কারণ এখানে বিজেপির থেকে আজও সংগঠন ভাল রয়েছে সিপিএমের। তাহলে কি এবারও বামের ভোট রামে গেল? উঠছে প্রশ্ন। আর এখানে আরও একটা বিষয় কাজ করেনি। সেটা হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। এখানের মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু সংখ্যায় নগণ্য। কারণ দক্ষিণ কলকাতার অনেক অংশই অর্থনৈতিকভাবে স্বাচ্ছন্দ্য। তাই এমন টক্কর দেওয়া গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।