লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। কিন্তু বাকি শরিকদের সমর্থনে এনডিএ সরকার গড়ে উঠবে। এটা সত্যিই প্রকৃত এনডিএ সরকার। কারণ বিজেপি এখন সংখ্যালঘু। এই আবহে বাংলার দিকে তাকালে বিজেপি জিতেছে ১২টি আসন। আগের বারের থেকে ৬টি আসন কমেছে। আর এই আবহে লোকসভা নির্বাচনেরꦉ ফলপ্রকাশের পর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে গ্রামের পর গ্রামে সংঘর্ষ। তার জেরে বিপুল পরিমাণ মানুষের ক্ষতি হচ্ছে। ভোটের ফলাফল প্রকাশ হতে না হতেই বাংলায় দিকে দিকে মিলেছে অশান্তির খবর। এই পরিস্থিতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় আবার কড়া হল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্য সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করল আদালত। বাংলায়൲ ভোট পরবর্তী হিংসা কোনও অপরিচিত শব্দ নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি কৌশিক চন্দের ডিভিশন বেঞ্চ।
এই ভোট পরবর্তী হিংসা দেখা গিয়েছিল এꦓকুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরও। তার জন্য মামলা হলে কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্ত দেয়। এবার লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়েছে। যেখানে বিপুল জনাদেশ পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ভোটের সময় তৃণমূলকে আক্রমণ করে নানা কথা বলেছিল বিজেপি নেতা–কর্মীরা। এবার তারই যেন প্রতিশোধ নেওয়া চলছে। আর বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚদার থেকে দিলীপ ঘোষ ছুটে বেড়াচ্ছেন জেলায় জেলায়। ভোট পরবর্তী হিংসা যে বাড়ছে এমনই অভিযোগ করছেন বিজেপি নেতারা। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ, লোকসভা নির্বাচন পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটলে সরাসরি রাজ্যের ডিজিকে ইমেল করে অভিযোগ জানাতে পারবেন আক্রান্ত ব্যক্তি।
আরও পড়ুন: বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ পেল ইডি൩, ঘনিষ্ঠের নামে রেখেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বোলপুরে
এই নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, সেই অভিযোগ আদালতগ্রাহ্য অপরাধ হলে সঙ্গে সঙ্গে ডিজি স্থানীয় থানাকে উপযুক্ত ধারায় এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ পর্যন্ত দেবেন। এফআইআর দায়ের করে উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে পুলিশ। রাজ্যে কটি ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ এসেছে এবং কটি এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ, আর তার প্রেক্ষিতে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে সেসব রিপোর্ট জমা দিতে হবে রাজ্যের ডিজিকে। তবে শুধু 𝄹বিজেপির কর্মী–সমর্থকরা আক্রান্ত হচ্ছে এমন নয়। যেসব জায়গায় বিজেপি জিতেছে সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–কর্মীদের উপরও আক্রমণ নামিয়ে আনা হচ্ছে। এমনই অভিযোগ শাসকদলের। আর সেটা চেপে যাচ্ছে বিরোধী দল। এরই মধ্যে মারের পাল্টা বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
এছাড়া বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দকে চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু এতকিছুর পরও প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে। তাদের রাজ্যে রাখাই হয়েছে এই হিংসা প্রতিরোধ করার জন্য। তাহলে তারা কী করছে? উঠছে প্রশ্ন। তবে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, এফআইআর দায়ের হলেই সেটা রাজ্য পুলিশের ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। আর রাজ্য পুলিশ এবং কেন্দ্রꦚীয় বাহিনীকে পদক্ষেপ করতে হবে। বিচারপতি কৌশিক চন্দের পর্যবেক্ষণ, ‘এই রাজ্যে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস কোনও অপরিচিত শব্দ নয়। সরকা𝐆র যদি রাজ্যবাসীর জীবন রক্ষায় করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে আদালত উপযুক্ত নির্দেশ দেবে। আমরা রাজ্যের সমস্ত মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত দেখতে চাই।’