২৯ জন সাংসদ। আর তাঁদের নিয়ে বৈঠক করলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কালীঘাটের বাড়িতে এই জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক করার সময় বেশ কয়েকজনের প্রশংসা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যে যার নাম সবার আগে এসেছে তিনি হলেন ইউসুফ পাঠান। ব💙হরমপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছেন তিনি। পরাজিত করেছেন বহরমপুরের রবীন হুড অধীর চৌধুরীকে। এটা তাঁর ‘গড়’ বলেই পরিচিত। পাঁচবারের সাংসদ এবং পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ অধীরকে হারিয়ে নেত্রীর কাছ থেকে ‘জায়ান্ট কিলার’ তকমা পেয়েছেন এব♉ারের লোকসভা নির্বাচনের চমক ইউসুফ পাঠান।
গুজরাত থেকে ইউসুফকে নিয়ে এসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুরু থেকেই অধীরকে চাপে রেখেছিলেন। যেখানে অধীরের বক্তব্য ছিল, দম থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে মমতা বা অভিষেক প্রার্থী হয়ে জিতে দেখাক। সেখানে দেখা গেল, মমতা–অভিষেককে লাগল না। একা ইউসুফ𝓡ই যথেষ্ট অধীরকে পরাজিত করার জন্য। তাও আবার ৮৫ হাজারের বেশি ভোটে হেরেছেন বহরমপুরের পাঁচবারের সাংসদ। যা এখনও মেনে নিতে পারেননি অধীর। চিৎকার করে যাচ্ছেন, তিনি মেরুকরণ ও অর্থের মাঝে পড়ে স্যান্ডুইচ হয়ে পড়েছেন। দাঙ্গা করে তাঁকে হারানো হয়েছে। কিন্তু এগুলি এখন আর কেউ শুনতে রাজি নন। বরং বহরমপুরে আওয়াজ উঠেছে ‘পাঠান’। প্রশংসার পাশাপাশি বহরমপুরে পড়ে থেকে কাজ করার কথা ইউসুফকে বলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
আরও পড়ুন: শনিবার দুপুরেই নয়াদিল্🐲লি আসছেন শেখ হাসিনা, মোদীর শপথে আর কারা আসছেন?
মানুষের কাজ করাটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইউএসপি। যাঁরা এই নির্বাচনে সামান্য ভোটে পরাজিত হয়েছেন সেইসব প্রার্থীরও প্রশংসাꦆ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ লড়াইটা কঠিন ছিল। কাঁথির উত্তম বারিক,👍 বিষ্ণুপুরে সুজাতা মণ্ডলকে কুর্নিশ জানিয়েছেন দলনেত্রী বলে সূত্রের খবর। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, ওই বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘সুজাতা খুব ভাল লড়াই করেছে। সামান্য ভোটে হেরে গিয়েছে। এবার সংসদে আমাদের মহিলা সাংসদদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। আমরাই সবচেয়ে এগিয়ে। বাংলাকে বঞ্চনা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের যে আন্দোলন চলছিল সেটা চলবে।’
অধীর চৌধুরী নির্বাচনের সময় বলেছিলেন, তাঁকে যদি তৃণমূল কংগ্রেস বহরমপুরে হারাতে পারে তাহলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে 💛দেবেন। মাঠে গিয়ে বাদাম বেচবেন। এখন বলছেন রাজনীতি ছাড়া তিনি আর কিছু করতে শেখেননি। এখন অধীর চৌধুরী নয়াদিল্লি গিয়ে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে দেখা করেছেন। সুতরাং অধীর কি রাজনীতি ছাড়বেন? বাদাম বেচবেন? উঠছে প্রশ্ন। তবে উত্তম বারিকের প্রশংসা সবার সামনে করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর বক্তব্য, ‘কাঁথিতে বাঘের মতো লড়েছে উত্তম। ওর লড়াই মনে থাকবে।’ আরামবাগে জয়ী মিতালি বাগ, হুগলিতে জয়ী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেছেন তৃণমূলনেত্রী। তাঁর কথায়,⛎ ‘অভিষেক যেভাবে ডায়মন্ডহারবারে লড়াই করেছে সেটা প্রশংসনীয়।’