উদ্ধব ঠাকরে এবং শরদ পাওয়ারের দল ভাঙিয়ে মহারাষ্ট্রে নিজেদের সরকার গঠন করেছিল বিজেপি। তবে লোকসভা ভোটের আগে এবার নিজেদের জোটসঙ্গীদের দলও 'ভাঙানোর' পরিকল্পনা বিজেপির। রিপোর্ট অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রের ৪৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৩৪ থেকে ৩৭টি আসনে নিজেরাই লড়তে চাইছে বিজেপি। এর আগে ২০১৯ সালে যখন উদ্ধবের শিবসেনার সঙ্গে জোট বেঁধে বিজেপি লোকসভা নির্বাচনে লড়েছিল, তখন গেরুয়া শিবির জিতেছিল ২৩টি আসনে। আর শিবসেনার ঝুলিতে গিয়েছিল ১৮টি আসন। এরপর শিন্ডে শিবসেনা দল ভেঙে বিজেপির সঙ্গে যোগ দেন। সেই ভাঙনের পর এখন শিন্ডের সঙ্গে আছেন ১৩ জন সাংসদ। এই আবহে শিবসেনা চাইছে, তাদের অন্তত ১৩টি আসন ছাড়া হোক। তবে বিজেপি হয়ত তত সংখ্যক আসন শিন্ডের সেনাকে দেবে না। (আরও পড়ুন: সব শত্রুতা ꦅভুলে জোট চর্চায় শাসক-বিরোধী! মোদী-নবীন রসায়নে খেলা ঘুরবে ওড়িশায়?)
আরও পড়ুন: 'গুজরাট🐭 কি পাকিসಌ্তান নাকি…', মোদীর রাজ্য নিয়ে কেন এমন মন্তব্য করলেন ফড়নবীস?
রিপোর্ট অনুযায়ী, বিজেপি একা ৩৪ তেকে ৩৭টি আসনে লড়ে বাকি ১১ থেকে ১৪টি আসন শিবসেনা ও অজিত পাওয়ারের এনসিপিকে দিয়ে দিতে পারে। এদিকে গত নির্বাচনে এনসিপি জিতেছিল ৪টি আসনে। এবার তারা ৪ থেকে ৫টি আসনের দাবি করছে। তবে বিজেপি যে সং▨খ্যক আসন জোটসঙ্গীদের ছাড়তে রাজি, তাতে তিন দলের মধ্যে মনোমালিন্য দেখ দিতে পারে। এরই মধ্যে খবর পাওয়া যাচ্ছে যে শিবসেনা এবং এনসিপির দু'জন নেতা বিজেপির টিকিটে ভোটে লড়তে পারেন। অর্থাৎ, নিজেদের জোটসঙ্গীদেরই দল 'ভাঙতে' পারে বিজেপি।
আরও পড়ুন: ♈বার্ষিক বেতন বৃদ্ধিতে ৬৫ বেসিস পয়েন্টের 'লোকসান', এবার সেই ফারাক মেটাবে র👍াজ্য?
জানা গিয়েছে, বুধবার বিজেপির কোর কমিটির বৈঠক বসেছিল। সেখানে ছিলেন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীস, রাজ্য বিজেপি সভাপতি চন্দ্রশেখর বাওয়াঙ্কুলে, প্রাক্তন রাজ্য সভা🌜পতি এবং বর্তমান মন্ত্রী চন্দ্রকান্ত পাটিল এবং মুম্বই বিজেপির সভাপতি আশীস শেলার। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আসন বণ্টন নিয়ে কথা হয় রাজ্যের এই শীর্ষ নেতাদের। এই আবহে ফড়নবীস মিডিয়াকে বলেন, 'জোটসঙ্গীদের সম্মানের সঙ্গে সঠিক সংখ্যার আসন ছেড়ে দেওয়া হবে।' এদিকে এনসিপির বর্ষীয়ান নেতা ছগন ভুজবাল দাবি করেছেন, শিবসেনার সমসংখ্যক আসন তাদের দিতে হবে।