প্রকাশ্যে বিজেপির পঞ্চম প্রার্থী তালিকা। সেখানে নতুন মুখের পাশাপাশি বাদ যাওয়া নামগুলি নিয়েও চর্চা বিস্তর। বিজেপিতে গান্ধী পরিবারের দুই সদস্যের মধ্যে একজন সদস্যের নাম এল পঞ্চম প্রার্থী তালিকায়। উল্লেখযোগ্যভাবে বিজেপির প্রার্থী তালিকায় নাম উঠে এসেছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা সাংসদ মানেকা গান্ধীর। তবে, জল্পনাকে সত্যি করে প্রার্থী তালিকায় নাম নেই মানেকা-পুত্র বরুণ গান্ধীর। প্রসঙ্গত, বহু দিন ধরেই বরুণের বেসুরো মন্তব্য ঘিরে চর্চা চলছিল। তারই মাঝে জল্পনা ওঠে, তিনি ২০২৪ লোকসভা ভোꦑটে আদৌ বিজেপির টিকিট পাচ্ছেন কি না, তা নিয়ে। এরপরই এল বিজেপির ৫ম প্রার্থী তালিকা।
রবিবার, হোলির আগের দিন বিজেপি তার ২০২৪ লোকসভা ভোটের পঞ্চম প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। সেখানে বিজেপির ‘গান্ধী’দের নিয়ে নজর ছিল রাজনৈতিক মহলের। সেই জায়গা থেকে পিলিভিট কেন্দ্রটি হাইভোল্টেজ কেন্দ্র। এই পিলিভিট কেন্দ্রে ১৯৮৯ সালে বরুণের মা মানেকা গান্ধী জনতা দলের হয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন। ১৯৯১ সালের ভোটে তিনি এই কেন্দ্র থেকে হারেন। পরে ১৯৯৬ সালে ফের পিলিভিট আসে মানেকার দখলে। সেবারের ভোটে তাবড় জয় ছিনিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধীর পুত্রবধূ মানেকা। ১৯৯৮-১৯৯৯ সালে এই কেন্দ্রে মানেকা নির্দল হয়ে ভোটে লড়েন। পরে ২০০৪ সালে এই কেন্দ্রে তি🔥নি জেতেন। সেদিক থেকে পিলিভিট মানেকার পোক্ত জমি ছিল। ২০০৯ সালের ভোটে পিলিভিট কেন্দ্রটি ছেলে বরুণের জন্য ছেড়ে দেন মানেকা। সেবার ২ লাখের ব্যবধানে বিজেপির হয়ে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন বরুণ। ২০১৪ সালে ফের ওই কেন্দ্র থেকে লড়েন মানেকা। জিতেওছিলেন তিনি ৩ লাখের ব্যবধানে। ২০১৯ সালে ওই কেন্দ্রে প্রার্থী হয়ে ভোটে জেতেন বরুণ। সেবার সমাজবাদী পার্টির প্রার্থীকে ২.৫ লাখ ভোটে হারান বরুণ। তবে এবার পিলিভিট কেন্দ্রে নেই বরুণ বা মানেকা গান্ধীর নাম।
শোনা যাচ্ছিল, এই কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিট না পেলে বরুণ লড়তে পারেন নির্দল হয়ে। এদিকে, বিজেপি স্পষ্ট করে দিয়েছে, যে বরুণকে তাঁরা টিকিট দিচ্ছে না প🍎িলিভিটে। সেক্ষেত্রে বরুণের আগামী𒁏 পদক্ষেপ কী হতে পারে, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। শোনা যাচ্ছে, সমাজবাদী পার্টির তরফেও বরুণের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়ে।
পিলিভিটে প্রার্থী কে?
উল্লেখ্য, 🍃২০২৪ লোকসভা ভোটে পিলিভিটে বিজেপির প্রার্থী উত্তর প্রদেশের মন্ত্রী জিতিন প্রসাদা। এছাড়াও মানেকা গান্ধীকে সুলতানপুর আসনটি দিয়েছে বিজেপি।