লোকসভা নির্বাচন এখন দুয়ারে কড়া নাড়ছে। আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার ভোট হবে। কিন্তু তাജর আগেই রাজনৈতিক পারদ চড়তে শুরু করেছে। আর সেটাই এবার চরমে পৌঁছে গেল। প্রকাশ্যে বিজেপি নেতার দাদাগিরি দেখল গ্রামবাংলা। আর তা নিয়ে এখন আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে এক সরকারি কর্মীর উপর চড়াও হলেন খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ। ওই সরকারি কর্মীকে মারধর করেছেন বিজেপি বিধায়ক বলে অভিযোগ। যা নিয়ে গ্রামের মানুষ চর্চা শুরু করেছেন।
লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এমন ঘটনা প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনা চাউর করে দিয়েছে রাজ্যের শাসকদল। বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষের মারপিঠের সিসিটিভি ফুটেজ ছড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। যা এ💯খন ভাইরাল হয়ে পড়েছে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের এক কর্মীকে মারধর করেছেন বিজেপি বিধায়ক বলে অভিযোগ। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তৃণমূল কর্মী অরিন্দম ভৌমিককে বিনা প্ররোচনায় হিংস্রভাবে মারতে মারতে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে নির্বাচন ꦉকমিশনকে নির্দেশ দিয়ে এই লুম্পেন সুশান্তকে গ্রেফতার করতে হবে।
যদিও এখনও বিজেপির ওই বিধায়ক গ্রেফতার হননি। খানাকুলের রাজহাটি এলাকার ঘটনায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে স্থানীয় মানুষজনের মধ্যে। কারণ এই মারধরের ঘটনা সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। সেটা এখন সবার স্মার্টফোনে ঘুরছে। আর পাড়ার মোড়ে, চায়ের দোকানে এবং আড্ডায় এই ঘটনা নিয়েই সর্বত্র চর্চা চলছে। যদিও এই মারধরের ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ। তবে এই বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের কাছে নিয়ে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস বলে🌊 সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার পর থেকেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘ও𝄹 তো আসলে গাঁয়ে মানে না আপনে মোড়ল’, প্রশান্ত কিশোরকে ধুয়ে দিলেন কুণাল
স্থানীয় সূত্রে খবর, খানাকুলের রাজারহাটি এলাকায় বেশ কয়েকদিন ধরে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পিএইচই পাম্পের পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এই নিয়ে চেষ্টাও করা 🌠হচ্ছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার। এই আবহে পাম্পের কর্মীরা বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতে গিয়ে সেই সমস্যার কথা জানান। অভিযোগ, তারপরও পঞ্চায়েতের প্রধান–সহ খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশা🔥ন্ত ঘোষ তার দলবলকে সঙ্গে নিয়ে ওই পাম্প কর্মীদের উপর চড়াও হয়। আর বেধড়ক মারধর করেন। বিধায়ক নিজে চড় থাপ্পড় মারতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। এমনকী ছাড়াতে গেলে পাম্প অপারেটরের দাদা তথা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী অরিন্দম ভৌমিককেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।