রাজ্য–রাজনীতিতে এখন বড় খবর বলতে লোকসভা নির্বাচন। কিন্তু ♛এই লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার তিন মাসের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করলেন বিজেপি নেত্রী। আর তাতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে নির্বাচনী ময়দানে। সদ্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা বেড়েছে। সেখানে আজ, সোমবার কোচবিহারের একটি জনসভা থেকে বিজেপি মহিলা মোর্চার নেত্রী এমন কথা বলেছেন বলে দাবি করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। এমনকী তাঁর এই বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্যের ভিডিয়ো শেয়ার করে কড়া সমালোচনা করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। শুধু তাই নয়, বিজেপিকে নারী বিদ্বেষী বলে তোপ দাগা হয়েছে।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প এখন ঘরে ঘরে প্রবেশ করেছে। আর তাতে উপকৃত বহু বাংলার নারী। আজ✱ তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সোমবার কোচবিহারের দিনহাটায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভা চলাকালীন বিজেপির মহিলা মোর্চা নেত্রী লক্ষ⭕্মীর ভান্ডার প্রকল্প বন্ধ করার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এই সামাজিক প্রকল্পটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি বিশেষ উদ্যোগ বাংলার মহিলাদের প্রতি। যা অন্য অনেক রাজ্য অনুসরণ করছে। বাংলার মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য এই প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। বিজেপি নারী বিদ্বেষী মানসিকতা নিয়ে চলছে। তাই তাঁদের নেত্রী সভা চলাকালীন এই প্রকল্পকে বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানাচ্ছেন। এমনকী এই প্রকল্পকে ভিক্ষার সমান বলে মন্তব্য করছেন।
আরও পড়ুন: অভিꦑষেকের হেলিকপ্টারে তল্লাশি নিয়ে পদক্ষেপ, রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন
এই ঘটনা নিয়ে এখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তাহলে কি ভোট টানতে এমন মন্তব্য করা হচ্ছে? উ𝐆ঠেছে প্রশ্ন। এদিকে ওই ভিডিয়ো’তে বিজেপি নেত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘আগামী তিন মাসের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। আমরা ভিক্ষা চাই না। আমরা স্বনির্ভর হতে চাই। এই লোকসভা নির্বাচনে ৩৫টি আসন নিয়ে বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় আসলে এই সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে পড়ে যাবে।’ বিজেপি নেত্রীর এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র স্বয়ং এই প্রকল্প নিয়েছেন বলে খবর। এমনকী বহু বিজেপির নেত্রী এই প্রকল্প নিয়ে থাকেন বলে সূত্রে♛র খবর।
কদিন আগে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অর্থের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন। তাও যদি বিজেপি সরকারে আসে তবেই। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে রাজ্যের মহিলাদের ৩০০০ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। সেখা♑নে বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী এই প্রকল্প বন্ধ করার কথা বলছেন কেন? উঠছে প্রশ্ন। এবারের রাজ্য বাজেটে এই প্রকল্পে আর্থিক সাহায্য ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ১০০০ টাকা করা হয়েছে। তফসিলি জাতির মহিলাদের বাড়িয়ে ১২০০ টাকা করা হয়েছে। তাই নির্বাচনী বাজারে চাপে পড়েছে বিজেপি। তা থেকেই এমন মন🐼্তব্য বলে মনে করা হচ্ছে।