লোকসভা নির্বাচন এখন দুয়ারে। এপ্রিল মাস পড়ে গিয়েছে। আর প্রথম দফার ভোট ১৯ এপ্রিল। এই আবহে করুণ হচ্ছে রাজ্যের গণপরিবহণের হাল। আর 💖ভোট গণনা ও ফল প্রকাশ ৪ জুন। এই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে আধা সেনা এবং ভোটকর্মীদের জন্য রাস্তা থেকে বাস–মিনিবাস তুলে নেওয়া হচ্ছে। এমনকী এখন ভোটের ডিউটিতে একাধিক জেলায় যেতে শুরু করেছে সরকারি বাস। সুতরাং আগামী দু’মাস শহর–শহরতলি এবং জেলাগুলিতে সরকারি–বেসরকারি সব বাস–মিনিবাসের সংখ্যা কমবে বড় হারে। একদিকে গরম অপরদিকে বাস নেই—এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে জনগণকে। এখনও পর্যন্ত দু’হাজারের বেশি বেসরকারি বাস–মিনিবাস উধাও হয়ে গিয়েছে। আর লোকসভা নির্বাচনের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৬০০ সরকারি বাস বলে সূত্রের খবর।
এদিকে পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, লোকসভা নির্বাচনের জন্✃য বরাদ্দ বাস একাধিক দফায় ব্যবহার করা হবে। তাতে যাত্রী দুর্ভোগ বাড়বে ঠিকই। তবে বিকল্প ব্যবস্থা ভাবা হচ্ছে। বিকল্প ব্যবস্থা বলতে তিনটি সরকারি পরিবহণ সংস্থার বসে যাওয়া বাসগুলিকে মেরামত করে রাস্তায় নামানো হবে। প্রত্যেকবারই নির্বাচনের সময় বাস তোলা হয়। তাতে সমস্যা হয়। তবে এবার নাও হতে পারে। করোনাভাইরাস পরবর্তী সময়, ১৫ বছর চলেছে এমন বাস বাতিল–সহ নানা কারণে এখন বঙ্গে বাসের সংখ্যা কমেছে। এবার সেটাই বড় আকার ধারণ করতে পারে।
আরও পড়ুন: ‘আমরা খুব সাধারণ পরি👍বারের’, কয়লা দুর্নীতির অভিযোগ উঠতেই মন্তব্য নবীন জিন্দালের
অন্যদিকে শনিবার দিন রাজ্য পরিবহণ কর্তৃপক্ষের সচিব একাধিক বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে করেন। সেখানে লোকসভা নির্বাচনের জন্য বাস পাওয়া নিশ্চিত করতেই এই বৈঠক করা হয়। ওই বৈঠকেই মোটর ভেহিকল ইনসপেক্টররা পর্যাপ্ত বাস–মিনিবাস মিলছে না বলে অভিযোগ করেন। এই বিষয়ে সিটি সুবারবান বাস সার্ভিসের নেতা টিটু সাহা বলেন, ‘করোনাভাইর🃏াসের দু’বছর বাস বসে যাওয়ার পর বহু রুট থেকে বাস উঠে গিয়েছে। বাস মালিকদের পক্ষ থেকে নতুন বাস নামানোর প্রবণতা কমছে। জ্বালানি তেল ও যন্ত্রাংশের আকাশছোঁয়া দাম। সেসব করে লাভের মুখ দেখা কঠিন। তাই পথে বাসের সংখ্যাও কমছে।’