বাংলা থেকে কত আসন ট🌠ার্গেট করেছে বিজেপি? এই প্রশ্ন এখন রাজ্য–রাজনীতিতে বিভ্রান্তি তৈরি করেছে। আর তার কারণ খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একবছর আগে শাহ নিজে বাংলায় এসে ৩৫ আসনের টার্গেট বেঁধে দিয়েছিলেন। তারপর সেটা কালের গতিতে নেমে আসে ২৫ সংখ্যায়। সেটা আবার এখন ৩০ সংখ্যায় পৌঁছে গেল। কারণ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই বলছেন, ‘বাংলায় ৩০ আসন চাই।’ ৩৫টি আসনের কথা তিনি নিজে বলেছিলেন। ২৫টির আসনের কথাও পরে বলেছিলেন তিনিই। সেখানে আজ দু’দিক বজা🍎য় রেখে ৩০ আসনের কথা বললেন শাহ। আগের অবস্থান থেকে কমিয়ে দিলেন পাঁচটি আসন। আর বঙ্গ–বিজেপি নেতাদের অবস্থান বদলে পাঁচটি বাড়িয়ে দিলেন। আর তাতেই বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে সিউড়িতে জনসভা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে পাশে নিয়ে বাংলা থেকে বিজেপি ৩৫টি আসন পাবে বলে দাবি করেছিলেন। তাতে চাপে পড়ে গিয়ে বঙ্গ–বিজেপির নেতারা বলতে শুরু করেছিলেন, ২৫টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা দ𒀰েওয়া হয়েছে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের এখনও যা জনপ্রিয়তা তাতে ওই আসন পাওয়া বিজেপির পক্ষে সম্ভব নয় সেটা তাঁরাও জানেন🧜। সেখানে আবার ৩০টি আসন বলায় দলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: কল্লোলিনী কলকাতায় ফিরুক নস্টালজিক ট্রাম রুট, দাবꦛি তুলল ট্রামপ্রেমী সংগঠন
এদিকে বাংলা থেকে যে রিপোর্ট কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে দেওয়া হয়েছিল তাতে এতগুলি আসনের কথা উল্লেখ করা ছিল না বলে সূত্রের খবর। তাই আলাদা করে সমীক্ষা করা হয়েছিল। সেখানে উঠে এসেছিল বাংলা থেকে ৯টি আসন পাবে বিজেপি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে। খুব ভাল ফল করলে ১১টি আসন। তার বেশি পাবে না বিজেপি। এটাই ছিল অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা বলে সূত্রের খবর। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ বলেছিলেন, বাংলায় অন্তত ২৫ আসন পাবে বিজেপি। অর্থাৎ আগের টার্গেটের চেয়ে ১০ আসন কম। আজ বুধবার বালুরঘাটের সভা থেকে শাহ বললেন, ‘বাংলা থেকে ২০২৪ সালে বিজেপিকে ৩০ আসন দিন। বিজেপি অসমে অনুপ্রবেশ খতম করেছে। বাংলায় লোকসভা নির্বাচনে ৩🅰০ আসন পেলে এখানে সীমান্ত টপক𒆙ে কোনও পরিন্দাও ঢুকতে পারবে না।’
সুতরাং আজ আবার পাঁচটি আসন বাড়ল। সেটা কেমন করে পাবে বিজেপি তার কোনও দিশা দেখাতে পারেননি অমিত শাহ। তাই প্রশ্ন উঠছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলা থেকে সঠিক রিপোর্ট পাচ্ছেন কি? বিজেপির কর্মীরা এসব শুনে বিভ্রান্তিতে পড়েছে। দলের অন্দরে অনেক নেতাই আলোচনা শুরু করেছেন যে, ৩০টি আসন বাংলা থেকে মেলা অসম্ভব। যদি ৩০ আসন না মেলে তাহলে বাংলা থেকে উৎসাহ হারাবে কেন্দ্রীয় বিজেপি। এই আশঙ্কাও করা হচ্ছে। ফলে টার্গেট নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। আর অমিত শাহের কথায়, ‘২০১৪ সালে দু’টি আসন দিয়েছিলেন। ২০১৯ সালে দিলেন ১৮টি আসন। ২০২৪ সালে ১৮ থেকে বাড়িয়ে ৩০ করতে হবে। যাতে বিজেপির ৩৭০ আসন নিশ্চিত হয়।’ পাঁচটি আসন কমাল💖েন কেন? ৩০টি আসন কি হবে? উত্তর মিলবে ৪ জুন।