এখন লোকসভা নির্বাচনের আবহে বাংলার মাটি সরগরম। আর এไই আবহে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক শওকত মোল্লার বিরুদ্ধে পোষ্টার পড়ল ভাঙড়ে। ভাঙড় বিধানসভার পোলেরহাট থানার শ্যামনগর এলাকায় ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার নামে একাধিক পোস্টার পড়ল। ওই এলাকায় অশান্তির কারিগর শওকত বলে দাবি তুলে একাধিক পোষ্টার পড়েছে। পোলেরহাট ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সেই ছবি সকলের নজরে এসেছে। শওকতের মতো দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার বিরুদ্ধে কে বা কারা এই পোষ্টার লাগিয়েছে? উঠছে প্রশ্ন। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পোলেরহাট🅠 থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এই পোস্টার আজ, শনিবার সকালে প্রকাশ্যে আসতেই জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে গ্রামে। আর 🅷এই পোস্টার ঘিরে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক উত্তেজনা। এখানে সাদা কাগজে লেখা হয়েছে, ‘ক্যানিং ও জীবনতলা থেকে লোক এনে ভাঙড়ে সন্ত্রাস করে খুন করল। সেই খুনের দায়ে আরাবুল জেলে, শওকত মোল্লা বাইরে থাকবে কেন? প্রশাসন জবাব দাও।’ আর একটি পোষ্টারে লেখা, ‘মুখ্যমন্ত্রী দ্বারা স্বীকৃত বোমা, গুলির মাস্টারমাইন্ড শওকত মোল্লার ভাঙড়ে ঠাঁই নাই।’ এখানেই শেষ নয়, পোস্টারে আরও লেখা হয়েছে, ‘সুগত বসু, কবীর সুমন, মিমি চক্রবর্তী সাংসদ হয়ে ভাঙড়ে কি কাজ করেছেন সায়নী ঘোষ, শওকত মোল্লা জবাব দাও।’ শওকত বিরোধী একাধিক ধরনের বিদ্বেষমূলক পোℱস্টার পড়েছে হাড়োয়া রোডে।
আরও পড়ুন: রাজভবনে বৈঠক ডাকল🐷েন রাজ্যপাল, সংঘাতের আব🙈হেই স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে আলোচনা
এই ঘটনার পিছনে আইএসএফের হাত রয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। কারণ এই আইএসএফের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক🅷 শওকত মোল্লার সম্পর্ক আদায় কাঁচকলায়। পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে দু’পক্ষের মধ্যে দ্বৈরথ চলছে। আগে ভাঙড়ে নানা হিংসার ঘটনায় বিরোধীরা আরাবুল ইসলামকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিত। গত আড়াই মাস ধরে আরাবুল ইসলাম জেলে রয়েছেন। তাই বিকল্প হিসাবে শওকত মোল্লাকে বেছে নিয়েছে বিরোধীরা বলে মনে করা হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় শ্যামনগর বাজারে একটি জনসভা করেন শওকত মোল্লা। তারপরই এই পোস্টার পড়ল। যা এককথায় বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
তবে স্থানীয় সূত্রে খবর, পোলেরহাট ২ পঞ্চায়েত এলাকা জমি কমিটির আঁতুড়ঘর বলেই পরিচিত। তবে আইএসএফ শ্যামনগর এলাকায় যথেষ্ট শক্তি অর্জন করে রয়েছে। ফলে ওই এলাকায় শওকতের বিরুদ্ধে এমন বিদ্বেষমূলক পোস্টার লাগানোর পিছনে জমি কমিটি নাকি আইএসএফ যুক্ত সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনার পর জমি কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মির্জা হাসান বলেন, ‘শওকত মোল্লারা কয়েকদিন ধরে জমি কমিটির বিরুদ্ধে যে মিথ্যা অপপ্রচার করছে। দল ভাঙানোর চেষ্টা করছে। পোলেরহাট এলাকার সাধারণ মানুষের উদ্যোগে বাস্তব প্রতিফলন এই পোষ্টার।’ আর আইএসএফের ভাঙড় ২ ব্লক সভাপতি রাইনুর হকের বক্তব্য, ‘আইএসএফ এমন কুৎসা, অপপ্রচারের রাজনীতি করে না।’ বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ শওকত মোল্লা। তাঁর কথায়, ‘জমি কমিটি থেকে ওদের লোকজন আমাদের দল♛ে যোগ দিচ্ছে। তাই ওদের গায়ে জ্বালা হচ্ছে। তাই এসব করছে। যারা পোস্টার মারছে তারা আমাদের আর্শীবাদ করছে। যত এমন করবে ততবেশি এই এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস শক্তিশালী হবে।’