লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফাতেই হিংসা চরমে উঠল। কোচবিহারে সকাল থেকেই উত্তেজনা এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, হাসপাতালে ছুটতে হয় উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহকে। তৃণমূল কংগ্রেসের🦹 বুথ সভাপতিকে মেরে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় বিজেপি বলে অভিযোগ। শীতলকুচির ছোট শালবাড়ি এলাকায় তৃণমূল–বিজেপি সংঘর্ষে⛄ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। জলপাইগুড়িতেও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। আলিপুরদুয়ারেও সেই আঁচ পড়েছে বলে সূত্রের খবর। এই আবহে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে বিজেপির বুথ অফিসে গেলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়।
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ধূপগুড়ির বিধায়কও। তাঁকে বুথ অফিসে দেখে স্বাগত জানান ব෴িজেপি কর্মীরা। আজ, শুক্রবার বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বামনটারি, ডাউকিমারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিলেন জলপাইগুড়ি কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়। ভোট দিয়ে বেরিয়ে তিনি পৌঁছে যান বিজেপির বুঝ অফিসে। তবে উত্তরবঙ্গের এই তিন কেন্দ্রে যেখানে ভোট হচ্ছে সেখানে সকাল ৯টা পর্যন্ত গড়ে ১৫.০৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। কোচবিহারে ভোট পড়েছে ১৫.২৬ শতাংশ, আলিপুরদুয়ারে ভোট পড়েছে ১৫.৯১ শতাংশ এবং জলপাইগুড়িতে ভোট পড়েছে ১৪.১৩ শতাংশ। যা ভাল লক্ষণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: ‘নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ কাজ করছে না’, ভেটাগুড়ির🔴 হামলায় সুর চড়ালেন উদয়ন
অন্যদিকে আজ বিজেপির বুথ অফিসে ঢুকে পড়লেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়। সেখানে গিয়ে কথা বললেন বিজেপির বুথ সভাপতির সঙ্গে। লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন সৌজন্যের ছবি ধরা পড়ল জলপাইগুড়িতে। বানারহাট এলাকায় বিজেপির বুথ অফিসে ঢুকে পড়েন নির্মলচন্দ্র রায়। ঠিক মতো ভোট হচ্ছে কি না সেটা নিয়ে খোঁজ নেন তিনি। যা সত্যিই বিরল দৃশ্য। প্রতিপক্ষ ঠিক করে ভোট দিতে পারছে কিনা, কোনও অসুবিধা হচ্ছে কিনা জেনে নেন তিনি। যাতে হেরে যাওয়ার পর বিজেপি বলতে না পারে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। তৃণমূল কংগ্রেস রিগিং করে জিতেছে। সৌজন্যের মধ্যেও এমন কাজটি করে রাখলেন নির্মল। এই বিষয়ে নির্মল বলেন, ‘এটা সৌজন্যের বিষয়। রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও জলপাইগুড়ি বারবার সৌজন্যের রাজনীতি দেখ🎶েছে। এটাও তাই।’
এছাড়া তিন কেন্দ্র মিলিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের কাছে মোট ৩৭টি অভিযোগ জমা করল তৃণমূল কংগ্রেস। এই বিষয়ে নির্মলচন্দ্র রায়ের বক্তব্য, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীর আচরণ নিয়ে আমার অত্যন্ত সংশয় রয়েছে। আমার আগের অভিজ্ঞতা বলে ওদের অতি সক্রিয়তাই বারবার সমস্যা করে। সকাল থেকে ভোট শান্তিপূর্ণ হচ্ছে। কিছু হিংসার ঘটনা ঘটেছে। যার সঙ্গে বিজেপি জড়িত। তবে আবহাওয়া ভাল আছে। সেটাই সুবিধা ভোটারদের কাছে।’ এরপর বিজেপির বুথ সভাপতিকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বলেন, ‘ভোট শেষ হলে আবার চা–চপ–মুড়ি নিয়ে সন্ধ্যার আড্ডা হবে।’ 🎀আর বুথ সভাপতি গোলিচন্দ্র রায়ের কথায়, ‘এটাই আমাদের জলপাইগুড়ি। রাজনৈতিক পার্থক্য যাইহোক না কেন সৌজন্যের অভাব হবে না।’