লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। বিজেপি চারটি আসন বাদ দিয়ে বাকি আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছে। সিপিএম–কংগ্রেস এখনও অসম্পূর্ণ প্রার্থী তালিকাই রেখে দিয়েছে। একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস ৪২টি আসনেই একসঙ্গে প্রার্থী দিতে পেরেছে। তাও ব্রিগেডে জনতার দরবারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে খুব বেশি থাকতে পারবেন না। মাথায় চোটের কারণে। তবে তাঁর নামে ‘গ্যারান্টি’ নিয়ে এখন প্রচারে বেরিয়ে পড়বেন রাজ্যসভার সাংসদ এবং বাংলার বিধায়করা। সূত্রের খবর, এপ্রিল মাস জুড়ে ‘দিদির গ্যারান্টি’র অন্তত ৩০টি পর্বকে সামনে রেখে প্রচার করবেন রাজ্যের মন্ত্রী, রাজ্যসভার সাংসদ এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ𒆙কইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দেওয়া স♛মস্ত গ্যারান্টি যে আসলে ভুয়ো তার ব্যাখ্যাও তুলে ধরা হবে।
এদিকে এপ্রিল মাসের ২ তারিখ কোচবিহারে যাওয়ার কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তারপর যাবেন ৩ তারিখ বীরভূমে। এবারের লোকসভা নির্বাচন ‘গ্যারান্টির’ কথা তুলে ধরা হচ্ছে। সেটা শুরু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ꦚবিভিন্ন প্রচারে। সেটারই পাল্টা দিতে দিদির গ্যারান্টি নিয়ে নেমে পড়তে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। যেখানে প্রত্যেক𒁃টি কাজ কথা দিয়ে কথা রাখা হয়েছে বলে তুলে ধরা হবে প্রচারে। এপ্রিল মাসে সেটাই তুলে ধরবেন নেতারা মানুষের সামনে। গত ১০ তারিখ ব্রিগেডের মাঠে জনগর্জন সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম ‘দিদির গ্যারান্টি’ তুলেছিলেন। প্রশ্ন তুলেছিলেন জনতার দরবারে— কার গ্যারান্টি বিশ্বাস করেন, ‘দিদি’ না মোদী? প্রচারে সেটাই তোলা হবে।
আরও পড়ুন: 𓆉এখনও চার আসনে জট কাটল না বিজেপির, প্রার্থী খুꦇঁজতে নাজেহাল অবস্থা গেরুয়া শিবিরের
অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ꦚতাঁর গত ১৩ বছরের মুখ্যমন্ত্রিত্বে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেটা পূরণের গ্যারান্টিই এপ্রিল মাসের প্রচারে তুলে ধরা হবে। এপ্রিল মাস পড়লেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বেড়ে যাবে। যা পাবেন বাংলার মা–বোনেরা। ১০০ দিনের কাজের দু’বছরের বকেয়া টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকার। এছাড়া জল, আলো, রাস্তার উন্নয়ন তো রয়েছেই। এগুলিই দিদির গ্যারান্টি। যা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়–সহ নেতারা তুলে ধরবেন মানুষের সামনে। সেটাকে বিজেপির পক্ষ থেকে কমব্যাট করা কতটা সম্ভব হবে সেটাই এখন দেখার🍌।
এছাড়া বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা দিয়েছে তৃণমূল ꦯকংগ্রেস। এমনকী মোদী সরকার যদি ১ মে তারিখের মধ্যে আবাস যোজনার টাকা না ছাড়ে তাহলে ১১ লক্ষ মানুষের মাথার ছাদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার করে দেবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। সেটাই এবার জনে জনে বলে বেড়াবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ–বিধায়ক ও প্রার্থীরা। তাই এখন থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নানা প্রচার সভা থেকে বলতে শুরু করেছেন, মোদীর গ্যারান্টি, জিরো ওয়ারেন্টি। মোদীর ভাষণ আর দিদির রেশন—এমন স্লোগান তোলেন তিনি। আর এই বিষয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা বালুরঘাটের প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কেমন করে গ্যারান্টি দিচ্ছে? তাদের নিজেদেরই ওয়ারেন্টি শেষ হয়ে গিয়ে, এক্সপায়ারি ডেট এসে গিয়েছে।’ যদিও তৃণমূল কংগ্রেস বলছে, ১৫ লক্ষ টাকা, বছরে দু’কোটি চাকরি কিছুই হয়নি। বরং বাংলার টাকা আটকে রেখেছে।