প্রচারে বেরিয়ে মহিলাকে চুমু খাওয়ার অভিযোগ উঠল মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর বিরুদ্ধে। ছবি (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) দেখিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে যে প্রচারে বেরিয়ে ‘নিজের ই𝓡চ্ছায়’ ওই মহিলাকে চুমু খেয়েছেন মালদার উত্তরের বিজেপি প্রার্থী। তাঁকে বাজেভাবে স্পর্শ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল। যদিও সেইসব দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন খগেন। তিনি বলেন, ‘এগুলো তৃণমূলের সংস্কৃতি। ওরা এরকম করে। সকলের মান-বোন আছে। সবাই বাচ্চাদের আদরই করে। এটা আবার কোন বিষয় আছে? এটা তৃণমূল কংগ্রেসের সংস্কৃতি। ওরা ওরকমভাবেই করে। একজন সাধুর কাছে যদি চোর যান, তাহলে সাধু বলেন যে তিনি সাধু। আর চোরের কাছে সাধু গেলে তিনি সাধুকেও চোর বলবেন।’
মঙ্গলবার সকালে তৃণমূলের তরফে একাধিক ছবি (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) পোস্ট করে দাবি করা হয়, 'আপনি যেটা দেখেছেন, সেটা যদি বিশ্বাস করতে না পারেন, তাহলে আমরা ব্যাপারটা স্পষ্ট করে😼 দিই। হ্যাঁ, ইনি বিজেপির সাংসদ এবং মালদা উত্তরের প্রার্থী খগেন মুর꧒্মু। যিনি প্রচারের মধ্যে নিজের ইচ্ছায় একজন মহিলাকে চুম্বন করছেন। মহিলা কুস্তিগিরদের যৌন হেনস্থা করা সাংসদ থেকে বাঙালি মহিলাদের নিয়ে অশ্লীল গান তৈরি করা নেতা - বিজেপি শিবিরে মহিলা-বিরোধী রাজনীতিবিদের অভাব নেই। এভাবেই নারীর সম্মানের ক্ষেত্রে নিয়োজিত থাকে মোদীর পরিবার।'
সেইসঙ্গে তৃণমূলের তরফে বলা হয়, 'নারীদের অপমানের তত্ত্বের পক্ষে বিজেপি। ব্রিজভূষণ সিংকে সমর্থন করেন (নরেন্দ্র) মোদী। যে ব্রিজভূষণ আমাদের কুস্তিগি🤪রদের যৌন হেনস্থা করেছেন। মণিপুরের মহিলাদের নগ্ন হয়ে হাঁটাতে দিয়েছিলেন মোদী। ধর্ষককে নিযুক্ত করার জন্য নিজের তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান অমিত মালব্যকে ছাড়পত্র দিয়েছিলেন মোদী। মহিলা সাংসদকে লাথি মারার ছাড়পত্র দিয়েছিলেন নিজের মন্ত্রীকে (শান্তনু ঠাকুর)।' সেইসঙ্গে তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছে, 'মোদী কী গ্যারান্টি হল আদতে নারীর অপমান।'
মালদা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের লড়াই
এমনিতে ২০১৯ সালে বিজেপির টিকিটে মালদা উত্তর থেকে জিতেছিলেন খগেন। এবারও ওই লোকসভা কেন্দ্র থেকে তাঁকেই প্রার্থী করেছে বিজেপি। ত♋ৃণমূল টিকিট দিয়েছে প্রাক্তন আইপিএস প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কংগ্রেসের টিকিটে লড়ছেন মোস্তাক আলম। সার্বিকভাবে এখনও জোট না হলেও মালদা উত্তরে কোনও প্রার✃্থী দেয়নি বামফ্রন্ট। সপ্তাহকয়েক আগেই বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু জানিয়েছিলেন যে তৃণমূল এবং বিজেপিকে হারাতে কোনও প্রার্থী দেওয়া হবে না। বরং কংগ্রেস প্রার্থীর হয়েই প্রচার করবে বামফ্রন্ট।