সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে লোকসভা নির্বাচনের দাবিকে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মঙ্গলবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ওপর অনাস্থা প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে লোকসভা নির্বাচন করানোর দাবি জানিয়ে টুইট করেছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন। তাঁর দাবিকে কটাক্ষ করে 🎃এদিন সুকান্তবাবু বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীকে বলুন নতুন একটা সংবিধান লিখতে। তাহলে এটা সম্ভব।’
এদিন সুকান্তবাবু বলেন, ‘আমি ডেরেককে বলব, বাজার থেকে একটা মোটা, গাব্দা খাতা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়ে দিন। মুখ্যমন্ত্রী ওটায় সংবিধান রচনা করে দিন। উনি যেটা লিখবেন, সেটাই ভারতের সংবিধান হবে। অসুবিধা কী আছে? আর ডেরেকবাবু ওটাকে ইংরাজিতে অনুবাদ করবেন’൲।
আরও পড়ুন: গার্ডেনরিচের জের, ৩ ইঞ্জিনিয়ারকে শোকজ, তালিকা 🐬করে বেআইনি বাড়ি ভাঙার নির্দেশ
তৃণমূলকে তাঁর প্রশ্ন, ‘দেশে এটা প্রথমবার হচ্ছে না কি? এর আগেও কমিশন বহু পুলিশ আধিকারিককে সরিয়েছে। স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে কমিশন যাকে খুশি🔥 সরাতে পা🎀রে। সংবিধান তাকে এই ক্ষমতা দিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস কি ভারতের সংবিধানকে চ্যালেঞ্জ করছে?’
সোমবার দেশে লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে অপসারণ করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ♔বিবেক সহায়কে সেই পদে নিয়োগ করে তারা। রাজ্য সরকারের সুপারিশ মেনেই নিয়োগ করা হয় বিবেক সহায়কে। কমিশন নির্দেশ দেয়, রাজীব কুমারকে নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও পদে রাখা যাবে না। এর পর তাঁকে তথ্য প্রযুক্তি দফতরের পাঠিয়ে দেয় রাজ্য।
আরও পড়ুন: ‘ꦰআমরা সুপ্রিম কোর্ꩵটের তত্ত্বাবধানে ২০২৪ নির্বাচন চাই’, বিজেপিকে ঠুকে দাবি ডেরেকের
কমিশনের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে মঙ্গলবার ডেরেক সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে লেখেন, ‘জাতীয় নির্বাচন কমিশনের মতো সংস্থাকে ধ্বংস করার জন্য বিজেপির নোংরা খেলা। বিজেপি কি জনতার মুখোমুখি হতে এতটাই ভয় পাচ্ছে যে নির্বাচন কমিশনকে পার্টি অফিসে পরিণত করেছে? নির🌊্বাচন কমিಞশন না হিজ় মাস্টার্স ভয়েস? নির্বাচিত রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের বদলি করছে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য! আমরা সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে ২০২৪ সালের নির্বাচন চাই।’