উত্তরপ্রদেশের পিলভিটের ৩ বারের সাংসদ বরুণ গান্ধীকে এবার টিকিট দেয়নি বিজেপি। তাতে দলের প্রতি অসন্তুষ্ট বিজেপি নেতা। পিলভিটের বাসিন্দাদের উদ্যেশ্যে একটি খোলা চিঠি লিখে তিনি সেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। তারপরেই বরুণের দলবদলের জোর জল্পনা শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। তবে বরুণ গান্ধী টিকিট না পেলেও তাঁর মা মানেকা গান্ধীকে এবারও টিকিট দিয়েছে বিজেপি। ছেলের টিকিট না পাওয়া নিয়ে সংবাদ 💯মাধ্যমে প্রথমবার প্রতিক্রিয়া জানালেন বরুণ গান্ধীর মা তথা বিজেপির সুলতানপুরের লোকসভা প্রার্থী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানেকা গান্ধী। বরুণকে প্রার্থী না করায় তিনি অবাক অথবা দুঃখিত হননি বলেই মন্তব্য করেছেন।
আরও পড়ুন: ‘মূল্য যাই চোকাতে হোক…’, পিলি𓆉ভিটের প্🔯রতি আবেগঘন চিঠি বরুণের
মানেকা গান্ধী বলেন, ‘বিজেপি একটি শৃঙ্খলাপরায়ণ দল। প্রত্যেকেই দলের সিদ্ধান্ত মেনে চলে।’ অর্থাৎ বর♏ুণ গান্ধীকে প্রার্থী না করার দলের সিদ্ধান্তকে মাথা পেতে মেনে নিয়েছেন মানেকা গান্ধী। উল্লেখ্য, বিজেপি এবার পিলভিট থেকে প্রার্থী করেছে উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী জিতিন প্রসাদাকে। একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মানেকা ছেলে বরুণের প্রতি গর্ববোধ করেছেন এবং দেশে ইতিবাচক অবদান রাখার জন্য তাঁর প্রতি সম্পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেছেন। যদিও বরুণ গান্ধী দল বদল করবেন কি না সেবিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু জানাননি মানেকা। এবিষয়ে তিনি বলেন, ‘বরুণ অন্য কোনও দলে যোগ দিচ্ছেন কিনা বা তাঁর ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে আমার কোনও ধারণা নেই।’
প্রার্থী ঘোষণা হতেই আমেঠি-সুলতানপুরে জনসংযোগের উপর জোর দিয়েছেন। মানেকা সম্পূর্ণ সময় মানুষের উৎসর্গ করার এবং সুলতানপুরে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, ‘আমাকে আবার মন্ত্রী করা হোক বা না হোক তাতে ক🦩িছু যায় আসে না। আমার এলাকার ভোটাররা কোনও সমস্যায় পড়েনি। কোনও এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজের গতি বেড়েছে।’&ܫnbsp;
উল্লেখ্য, পিলিভিট থেকে বিজেপি প্রার্থী না করায় বরুণ একটি আবেগপূর্ণ খোলা চিঠি লিখেছিলেন। তাতে তিনি লিখেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য কাজ অব্যাহত থাকবে। তিনি লিখেছিলেন, ‘আমার মনে পড়ে সেই ছোট্ট ৩ বছরের শিশুটিকে যে ১৯৮৩ সালে প্রথমবার পিলিভিটে এসেছিল মায়ের আঙুল ধরেছিল। সে তখন জানত না যে এই দেশটি তাঁর কর্মক্ষেত্র হয়ে উঠবে এবং এখানকার লোকেরা তাঁর পরিবারে পরিণ𝐆ত হবে।’
তিনি আরও লিখেছিলেন, ‘সাংসদ হিসাবে না হলেও, অন্তত পরিবারের একজন সদস্য হিসাবে আমি সারাজীবন সেখনাকার মনুষের সেবা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আমার দরজা সবসময় আপনার জন্য আগের মতোই খোলা থাকবে। আমি সাধারণ মানুষের হয়ে কথা বলতে রাজনীতিতে প্রবেশ করেছি এবং আগামী দিনে আমি এই কাজটি ꦡচালিয়ে যাওয়ার জন্য আপনার আশীর্বাদ কামনা করছি। যদিও এর জন্য আমাকে যে কোনও মূল্য বহন 💝করতে হয়, তার জন্য আমি প্রস্তুত।