প্রথম পর্বের ভোটের আর বেশিদিন নেই। তবে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ দেওয়ার আবেদন ফের প্রত্যাখান করল সুপ্রিম ক🧸োর্ট। সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, এই ধরনের কাজꦅ করলে সেটা একেবারে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করে দেবে।
বৃহস্পতিবার এনিয়ে শুনানি চলাকালীন কোর্ট দ💧েখে যে নতুন যে নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কোথাও কোনও অভিযোগ নেই। নতুন করে নিয়োগ করা দুজন নির্বাচন কমিশনার হলেন জ্ঞানেশ কুমার ও সুখবীর সিং সান্ধু। নতুন আইন মোতাবেক তাঁদের দুজনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। তবে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ জানিয়েছে, আপনারা এটা বলতে পারেন না যে নির্বাচন কমিশন কেবলমাত্র এক্সিকিউটিভদের অঙ্গুলিহেলনে চলে।
অন্যদিকেܫ সুপ্রিম কোর্টের তর♋ফে জানানো হয়েছে যে যাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে কোথাও কোনও অভিযোগ নেই। নির্বাচন প্রায় দোরগোড়ায় চলে এসেছে। এক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখাটা অত্যন্ত দরকার।
এদিকে ওই দুই নির𓆏্বাচন কমিশনারকে গত মাসে নিয়োগ করা হয়েছিল। সেই সময়ই কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী জানিয়েছেন, আগের রাতে আমি ২১২জনের নাম পাঠিয়েছিলাম। আর মিটিংয়ের ঠিক আগে ৬টা নাম পাঠিয়েছিলাম।&n⛄bsp;
এদিকে ওই কমিটিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি নেই। ওই কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও অধীর চৌধুরী রয়েছেন। কিন্তু সেই ক🐓মিটিতে প্রধান বিচারপতির না থাকা নিয়ে নানা কথা উঠছে। অধীর চৌধুরী এনিয়ে আগেই বলেছিলেন, ওই কমিটিতে প্রধান বিচারপতির থাকার দরকার ছিল। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, এই মিটিংগুলো শুধু আনুষ্꧂ঠানিকতা ছাড়া আর কিছু নয়।
দেশের মুখ্য় নির্বাচন কমিশনারের আওতায় দুজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে আগেই হলফনামা দাখিল করেছিল♐ কেন্দ্র। সুপ্রিম কোর্টের কাছে এই হলফনামা দাখিল করা হয়েছে। কার্যত সাফাই দেওয়া হয়েছে এই নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে। আসলে তাঁদের নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছিল। চিফ ইলেকশন কমিশনার ও আদার ইলেকশন কমিশনারস অ্য়াক্ট ২০২৩ অনুসারে এই স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছিল।
এদিকে কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, নতুন নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ নিয়ে কোথাও কোনও অভিযোগ হয়নি। তাঁদের যোগ্যতা নিয়েও কোꩲথাও কোনও প্রশ্ন নেই।
সূত্রের খবর, এক এনজিও এনিয়ে আবেদন করেছিল যে দেশের মুখ্য় নির্বাচন কমিশনার ও 🎀নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে যে প্যানেল ছিল তাতে দেশের প্রধান বিচারপতি ছিলেন না। আসলে সুখবীর সিং সান্ধু ও জ্ঞানেশ কুমারকে নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। তারপরই এনিয়ে আদালতে মামলা করে ওই এনজিও। এদিকে নতুন আইন অনুসারে যে প্যানেলের মাধ্য়মে তাঁদের নিয়োর হ♑য়েছে তার মাথায় রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এদিকে সিইসি নয়া অ্যাক্ট অনুসারে দেশের প্রধান বিচারপতিকে ওই প্যানেল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। গত বছর একটা সাংবিধানিক বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়েছিল একটি কমিটি করা হবে। যেখানে প্রধান বিচারপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতা থাকবেন। তাঁরাই নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করবেন। পরে সরকার নয়া সিইসি অ্যাক্ট চালু করে। সেখানে বলা হয় দেশের প্রধান বিচারপতিকে ছাড়াই এই কমিটি থাকতে পারে। তবে সরকার জানিয়েছে, এই স্তরে থাকা আধিকারিকরা ঠিকঠাক কাজ করবেনဣ এটা ধরে নেওয়া যায়।