বিজেপির বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায় বিরোধীদের মুখে। এবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার বিরুদ্ধে একটি গুরুতর অভিযোগ তুললেন রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) নেতা তেজস্বী যা𝕴দব। তিনি দাবি করেছেন, লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে বিহার সফরের সময় ভোট কেনার জন্য ৫ টি ব্যাগে নগদ টাকা নিয়ে এসেছিলেন বিজেপি সভাপতি। আর এরজন্য কেন্দ্রীয় এজেন্সি তাঁক🐼ে সাহায্য করেছে।
আরও পড়ুন: 'আমিষ খাওয়া নিয়ে না বলে… চাকরি ꦬনিয়ে কথা বলুন' মোদ🍰ীকে পালটা দিলেন তেজস্বী
বুধবার পাটনায় সংবাদমাধ্যমের সামনে তেজস্বী যাদব বলেন, ‘আমি খবর পেয়েছি তিনি (জেপি নড্ডা) তার সঙ্গে বেশ কয়েকটি বড় বড় ব্যাগ নিয়ে বিহারে এসেছিলেন। তাতে তিনি প্রচুর টাকা নিয়ে এসেছিলেন। যেখানে নির্বাচন হচ্ছ🐈ে সেখানে তিনি এই বিতরণ করছেন।’ নিজের দাবিত𒈔ে আরও জোর দিয়ে তেজস্বী বলেন, ‘আমি মিথ্যে অভিযোগ করছি না। আমার কাছে খবর আছে। পরীক্ষা করে দেখলেই জানতে পারবেন তিনি দিল্লি থেকে ৫ টি ব্যাগ নিয়ে এসেছেন। কেন্দ্রীয় এজেন্সি তাদের পূর্ণ সাহায্য করছে।’
প্রসঙ্গত, জেপি নড্ডা বুধবার বিহারে বেশ কয়েকটি জনসভায় বক্তব্য দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি কংগ্রেস এবং তার শরিক দলের বিরℱুদ্ধে অভিযোগ তোলেন, যারা দেশকে দুর্বল করতে চাইছে তাদেরকেই তারা সমর্থন করেছে। এই প্রসঙ্গ তুলে তিনি কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীকেও আক্রমণ করেন।
অন্যদিকে, হিন্দু মহিলাদের মঙ্গলসূত্র এবং সম্পত্তি মুসলিম ও অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কংগ্রেসের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছেন ♚তার তীব্র নিন্দা করেছেন তেজস্বী যাদব। এবিষয়ে মোদী সরকারের আমলে মূল্যবৃদ্ধির 𒊎কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজকাল সোনার দাম দেখুন, মহিলারা আজ একটি মঙ্গলসূত্রও করতে পারে না। আর বিজেপি তা কেড়ে নেওয়ার কথা বলছে।’ অর্থাৎ বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী বোঝাতে চেয়েছেন যে বর্তমানে সোনার দাম এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে অনেক মহিলা সোনার গহনা কিনতেই পারেন না।
অন্যদিকে, বিহারে দ্বিতীয় দফায় ৫ টি আসনে ভোট হবে। সেই সব আসনেই ইন্ডিয়া জোট জয়ী হবে বলে আত্মবিশ্বাসী তেজস্বী যাদব।তেজস্বী যাদব এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট ক❀রেছেন। তাতে প্রধানমন্ত্রীকে বিভিন্ন করেছেন প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, আপনি কেন সংবিধান ও গণতন্ত্রকে শেষ করতে চান? কেন আপনি দলিত, পিছিয়ে পড়া, বঞ্চিত ও দরিদ্রদের সংরক্ষণ ও চাকরি কেড়ে নিতে চান? আপনি বিহারে এসে কাজের কথা বলছেন না কেন?’