আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন। ভোটের আবহে রাজ্যে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখꦍার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই আবহে নির্বাচন কমিশন এবার থানা ভিত্তিক রিপোর্ট চেয়ে পাঠালো। শনিবার বিকেলে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতেই রাজ্যের সমস্ত পুলিশ কমিশনার এবং সুপারদে😼র এই মর্মে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। মূলত ভোটের আবহে কোন থানা এলাকায় কেমন পরিস্থিতি রয়েছে? তা খতিয়ে দেখতে এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ভোটের আগে🌳 রাজ্যে ৩০,০০০ অজামিনযোগ্য ওয়ারেন্ট কার্যকর ♚হয়নি, দাবি কমিশনের
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, আজ রবিবার থেকে এই রিপোর্ট পাঠাতে হবে মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের দফতরের মাধ্যমে। আইনশৃঙ্খলার পাশাপাশি জামিন অযোগ্য পরোয়ানা থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে? দাগী আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে কিনা? এর আগে কোন কোন এলাকায় ভোটে অশান্তি দেখা দিয়েছিল?✅ সে ক্ষেত্রে বিগত ভোটগুলিতে অশান্তি পাকানোর চেষ্টার অভিযোগে জড়িত থাকাদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে? সেই সমস্ত বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এক কথায় নিরাপত্তা এবং আইনশৃঙ্খলা যাবতীয় তথ্য থানাগুলিকে জানাতে বলেছেন নির্বাচন কমিশন। শুধু তাই নয়,🐲 ভোটের আগে নিয়মিত নাকা তল্লাশি চালাꦛনো হচ্ছে কি না, তার রিপোর্টও জমা দিতে বলেছে। এদিকে, সামনে যেহেতু নির্বাচন তাই সে ক্ষেত্রে নির্বাচনবিধি ভাঙার কোনও অভিযোগ পেলে সেক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে? নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলা হচ্ছে কিনা তার রিপোর্ট থানাগুলিকে জমা দিতে বলেছে নির্বাচন কমিশন।
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের প্রচার চলছে জোর কদমে। এই আবহে প্রচার নিয়ে বিভিন্ন এলাকা উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে কোথাও কোনও অশান্তি হচ্ছে কিনা বা এই সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের হয়েছে কিনা নির্বাচন কমিশনকে তা ﷺজানাতে হবে। সে ক্ষেত্রে পুলিশ কী পদক্ষেপ করেছে বা ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে কিনা তাও জানাতে হবে।
অন্যদিকে, এবার তফশিলি জানাজাতি নিয়ে কোনও অভিযোগ থাকলে সেটাও জানাতে হবে। উল্লেখ্য, সম্পতি সন্দ𝓀েশখালিতে একাধিক তফশিলি জাতি জনজাতিভুক্ত নাগরিকদের উপর হামলা ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। সেই পরিস্থিতি নির্বাচন কমিশনের এমন পদক্ষেপ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।