লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী, বিজেপি ১২টি আসন জিতেছে বাংলায়। আর তৃণমূল কংগ্রেস ২৯টি আসন। কংগ্রেস পেয়েছে ১টি আসন। সিপিএম শূন্যতার সঙ্গে জামানত জব্দের সাক্ষী থাকল। এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জুটি ছিল শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদার। তাঁদের প্রচেষ্টায় এমন ফল দেখে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কারণ তাঁর জমানায় বাংলার মাটিতে ২০১৯ সালে ১৮টি পদ্ম ফুটেছিল। সেখান থেকে কমে গিয়ে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২টিতে। দিলীপ ঘোষ নিজে এবার হেরে গিয়েছেন। তাতে তাঁর যুক্তি, কেন্দ্র বদল করার জেরেꩲই এই পরাজয়। এবার দিলীপ ঘোষের হয়ে ব্যাট ধরলেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মদন মিত্র।
ঠিক কী বলেছেন মদন? মেদিনীপুরের আসনে দিলীপ ঘোষকে দাঁড়াতে না দিয়ে বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। 𓃲রাজ্য⛦ বিজেপি নেতৃত্ব আগেই দিলীপ ঘোষকে সাইড করেছিল। এবার কেরিয়ার শেষ করতেই এমন করা হয়েছে বলে অনেক আদি বিজেপি নেতার মত। দিলীপ ঘোষ এবার ফাইট দিয়েছিলেন কিন্তু জিততে পারেননি। তারপর থেকেই বাংলায় বিজেপির গ্রোথ হয়নি বলে সরব হন তিনি। এবার মদন মিত্র গোটা পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, ‘বাইরে থেকে এসে দখলদাররা হুকুমদার হয়ে বসে যাচ্ছে। বিজেপির মুখ পশ্চিমবঙ্গে, যদি কেউ চিনত, তাহলে সেটা দিলীপ ঘোষ। জলে, জঙ্গল সব জায়গাতেই দিলীপ ঘোষকে দেখা যেত।’
আরও পড়ুন: গোটা 🀅বিশ্বে দুষণমুক্ত শহরের তকমা পেল কলকাতা, মেট্রো শহরগুলির মধ্যে প্রথম তিলোত্তমা
এখন ঠিক কী পরিস্থিতি? দিলীপ ঘোষ এখন রাজ্য নেতৃত্বকে আক্রমণ করছেন। পাল্টা তাঁকে নিশানা করছেন শুভেন্দু–সুকান্ত। তবে নাম না করে। দিলীপ ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা কথা পোস্টও করছেন। তাতে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের গায়ে জ্বালা হলেও হজম করতে হচ্ছে। তার উপর জুটে গেল শাসকদলের শংসাপত্র। কামারহাটির বিধায়কের বক্তব্য, ‘এক তাঁকে জেতা সিট থেকে সরিয়ে দিল। দুই তাঁর সর্বস্ব ক্ষমতা কেড়ে নিল। যদিও এটা ওদের দলের ব্য়াপার। আমার বলার দরকার নেই। মদন মিত্র রাজনীতিবিদ, তার বাইরেও আমার একটা সত্ত্বা আ▨ছে। আমি এই রাজ্য়ের নাগরিক, দেশের নাগরিক। নাগরিক হিসেবে মনে হচ্ছে, আজ দিলীপ ঘোষ বলবে না তো কে বলবে! বাইরে থেকে এসে দখলদাররা হুকুমদার হয়ে বসে যাচ্ছে।’