মেঘালয়ে কংগ্রেস ভাঙিয়ে প্রধান বিরোধী দল হয়েছিল তৃণমূল। তবে নির্বাচনী ময়দানে নেমে এই প্রথম নিজেদের সংগঠনের শক্তির পরখ করতে চলেছে তৃণমূল। সেই পরীক্ষায় নেমে প্রাথমিক ভাবে ভালো ফল করার ইঙ্গিতও দিয়েছিল ঘাসফুল শিবির। একটা সময়ে সকালবেলায় তৃণমূল ১৯টি আসনে এগিয়ে গিয়ে 'ফার্স্ট বয়' হয়ে গিয়েছিল। তবে বেলা গড়াতেই সিঙ্গল ডিজিটে নেমে যায় তৃণমূল। তবে তৃণমূল কিংমেকার হোক কি না হোক, যত সংখ্যক আসনই তারা জিতুক, এটাই তাদের কাছে প্রাপ্তি হতে চলেছে। নিজেরা লড়ে যদি ১০-এর কাছাকাছি আসনে ঘাসফুল ফোটাতে পারেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুটা স্বস্তি পেতে পারেন। অবশ্য এর জন্যে জয়ী বিধায়কদের ধরে রাখা হবে তৃণমূলের জন্য বড় পরীক্ষা। এই আবহে আজই মেঘালয়ে যাচ্ছেন অভিষেক। (মেঘালয় নির্বাচনের লাইভ আপডেট)
প্রচারের জন্য বারবার মেঘের রাজ্যে পা রেখেছেন মমতা ও অভিষেক। এরই মাঝে অবশ্য কংগ্রেস থেকে তৃণমূ☂লে আসা তিনজন বিধায়ককে হারিয়েছিল ঘাসফুল শিবির। তবে ২০২৩ সালের জয়ী বিধায়কদের যাতে দলে রাখা যায়, সেই চেষ্টায় ঝাঁপাতে চলেছে ঘাসফুল শিবির। এই আবহে মেঘালয়ে তৃণমূলের জয়🎃ী বিধায়কদের কলকাতা বা উত্তরবঙ্গে নিয়ে আসা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, দ🌜িল্লির পর পঞ্জাবে জিতে আম আদমি পার্টি জাতীয় রাজনীতিতে বড় ছাপ ফেলেছিল। সেই পথে এগিয়েই ত্রিপুরা এবং মেঘালয়ের দিকে পা বাড়িয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ত্রিপুরায় আশা ভঙ্গ হলেও মেঘালয়ে কংগ্রেস ভাঙিয়ে নিজেদের দলকে শক্তিশালী করেছিল তৃণমূল। সেখানে প্রচারের ওপরও জোর দিয়েছিল ঘাসফুল শিবির। তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছিস প্রাথমিক ট্রেন্ডে। তবে শেষ পর্যন্ত ট্রেন্ড ধরে রাখতে না পারলেও তৃণমূলের খাতা খুলতে চলেছে মেঘালয়ে।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে দু'জন সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। একজন ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়♈। অপরজন পূর্ণ সাংমা। কনরাড সাংমার বাবা। তাই মেঘালয়ে তৃণমূলের অস্তিত্ব ছিল আগেও। তবে ๊নতুন করে সেই রাজ্যে নিজেদের অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই লড়াইতে কংগ্রেস ভাঙিয়ে মুকুল সাংমাকে নিজেদের সেনাপতি করেছেন মমতা।
মনে করা হচ্ছে, এবার মেঘালয়ে বিরোধী ভোটে থাবা বসাতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যা🥃য়ের দল। ঘাসফুল শিবির নিজেরা সরকার গঠনের বিষয়ে আশাবাদী। এই আবহে কংগ্রেসের কপাল পুড়তে পারে। যা নিয়ে কংগ্রেসের সাংসদ রাহুল গান্ধী এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে কথার ল𝓀ড়াইও হয়েছে। প্রসঙ্গত, কংগ্রেস ভাঙিয়েই এই রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল হয়ে উঠেছিল তৃণমূল। আর এই নির্বাচনে কংগ্রেস ডবল ডিজিটেও পৌঁছতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না।