উৎপল পরাশর
শনিবারই নাগাল্যান্ড ও মেঘালয়ে ভোটের প্রচার শেষ হল। সোমবার ভোট উত্তর পূর্বের দুই রাজ্য়ে। সেদিকেই নজর গোটা দেশের। ভোট যাতে একেবারে নির্বিঘ্নে হয় তার সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভোট কর্মীরাও নিয়ম মেনে প্রস্তুতি ন💧িচ্ছেন। আর একেবারে প্রচার🌃ের শেষবেলায় মাটি কামড়ে লড়াইও চলেছে পুরোদমে।
এদিকে দুটি ক্ষেত্রেই শাসকের সহযোগী হিসাবে রয়েছে বিজেপি। সমস্ত ভোটারের কাছে পৌঁছতে সব রকম উদ্যোগ নিয়েছিল বিজেপি। তবে সেই নিরিখে প্রচারে এবার কিছুটা হলেও ব্য়াকফুটে ছিল কংগ্রেস। এমনটাই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। তবে বিগত দ🎃িনে মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডে ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেসই।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নাগাল্য়ান্ডের কমার্শিয়াল হাব ডিমাপুরে সভা করেছিলেন। মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে তিনি রোড শো করেছিলেন। তুরাতেও রোড শো 🐼হয়েছিল। দুটি জায়গাতেই সভাতে তিনি অংশ নেন। অন্যদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেপি নাড্ডাও দফায় দফায় প্রচারে এসেছেন উত্তর পূর্বের এই দুই রাজ্যে।
অন্যদিকে কংগ্রেস সব মিলিয়ে মাত্র দুটি ব🦋ড় সভা করেছিল। ডিমাপুরে একটি সভায় বক্তব্য রাখেনꦫ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। শিলংয়ে একটি সভায় বক্তব্য় রাখেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্🐎ধী। তবে দুটি রাজ্য়েই কংগ্রেসের তরফে বড় কোনও মিটিং সেভাবে চোখে পড়েনি🥀।
এদিকে মেঘালয় ও নাগাল্যান্ড দুটি রাজ্য়েই খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বী মানুষের সংখ্য়াধিক্য রয়েছে। এদিকে খাড়গে ও রাহুল গান্ধী তাঁদের সভাতে বার বারই জানিয়েছেন, বিজেপি যদি ক্ষমতায়๊ আসে তবে তাদের ধর্ম ও সংস্কৃতি দুটোই বিপন্ন হতেꦛ পারে।
তবে মোদী প্রচারে গিয়ে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন। তিনি ꦅজানিয়েছিলেন কোনও বিশেষ ধর্ম বা অঞ্চল♍ের প্রতি বিজেপির পক্ষপাতিত্ব নেই।
২০১৮ সালে নাগা পিপলস ফ্রন্ಌট ৩৯ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। ওই দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসাবে উঠে এসেছিল নাগাল্যান্🍎ডে। কিন্তু এনডিপিপি ও বিজেপি যথাক্রমে ১৭ ও ১২টি আসন পেয়ে সরকার গঠন করেছিল।
এদিকে এবার নাগাল্যান্ড ভোটের অন্যতম ইস্যু AFSPA তোলা হবে কি না। জাপফু খ্রীষ্টান কলেজ নাগাল্যান্ডের প্রিন্সিপাল বিশাখোনু হিবো জানিয়েছেন, এই আফস্পা তোলার ব্যাপারটি যেন সমস্ত রাজনৈতিক🌄 দলের ভোট এলেই প্রতিশ্রুতিমূলক কাজকর্মের মধ্য়ে পড়ে রয়েছে।
সমাজকর্মী কেভিথো কেরা জানিয়েছেন, দাব🔥ি করা হয় নাগাল্য়ান্ড🐻ে নাকি হিংসা কমে গিয়েছে। কিন্তু এটা বলা যায় ভয়ের পরিবেশ এখনও পুরোপুরি যায়নি নাগাল্যান্ড থেকে।