উৎপল পরাশর
দেশের কোনও অঞ্চল বা কোনও ধর্মের প্রতি বিজেপি বা এনডিএর কোনও পক্ষপাতিত্ব নেই। সকলের জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি চাইছি। নাগাল্যান্ডে ভোট প্রচারে গিয়ে একথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ডিমাপুরে একটি বিরাট সভায় এদিন বক্তব্য রাখেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী এদিন আশা প্রকাশ করেন, নাগাল্যান্ড থেকে AFSPA ꦯশীঘ্রই প্রত্যাহার করা হতে পারে। তবে নাগাল্যান্ডের শান্তি আলোচনা নিয়ে তিনি কোনও আলোকপাত করেননি।
মোদী এদিন বলেন, কোনও অঞ্চল বা ধর্মের প্রতি আমাদের কোনও পক্ষপাতিত্ব নেই। কোভিড অতিমারির সময় আমরা এটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি যে দেশের প্রতিটি কো🐼ণায় যাতে কো꧒ভিড প্রতিরোধক টিকা যায়। পরিকাঠামো আর কল্যাণমূলক স্কিম সকলের জন্য। এটা সকলের সুবিধার জন্য। জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এদিকে কিছু খ্রীষ্টান গ্রুপ ইতিমধ্যেই 𝔍নাগাল্যান্ডে দাবি তুলতে শুরু করেছিল বিজেপিকে ভোট দেবেন না। কারণ আপনার ধর্ম বিপন্ন হতে পারে। এদিকে ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮৮ শতাংশ খ্রীষ্টান ভ🅷োটার নাগাল্যান্ডে।
এবার সেই নাগাল্যান্ডে প্রচারে গিয়ে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য রাখেন তিনি। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি নাগাল্যান্ডে ভোট। ২ মার্চ ভোটের ফলা💙ফল বের হবে। বর্তমানে জোট সরকার চলছে নাগাল্যান্ডে। সরকার চালাচ্ছে NDPP। তার অন্যতম শরিক হল বিজেপি।এবার এনডিপিপি ৪০টি আসনে লড়ছে। বাকি ২০টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল।
এদিন মোদী বলেন, ভোটের দিন প্রতিটি বুথে প্রবল উৎসাহ থাকবে এটা জানি। বিজেপি-এনডিপিপি প্রার্থীরা যাতে জয়ী হয় সেব্যাপারে নিশ্চিত করার জন্য় সকলকে অনুরোধ করছি। গোটা রাজ্যের সমস্ত স্তরের মানুষꦡের কাছে যে প্রতিশ্রুতি রেখেছি সেটা পূরণ করার জন্য সুযোগ করে দেওয়ার জন্য় সকলের কাছে অনুরোধ করছি।
তিনি বলেন, বিশ্বাস আর উন্নয়নের ঢেউ আছড়ে পড়ছে গোটা নাগাল্য়ান্ডে। বিজেপি ও এনডিপিপির উপর আপনাদের পূর্ণ আস্থা প্রয়োজন। কারণ তারা রাত দিন আপনাদের জন্য় কাজ করছে।
অন্যদিকে শান্তি, উন্নয়ন ও অগ্রগতি আনতে ব্যর্থ হয়েছে কংগ্রেস। সেই অভিযোগ তোলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আসলে কংগ্রেসের পলিসি হল ভোট দাও আর আমরা ভুলে যাব। তারা ওই এলাকার স্থিতাবস্থা আর উন্নয়নে কোনও জোর দেয়নি। দিল্লি থ🔴েকে রিমোটে তারা দিল্লিকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছে। সেকারণেই কংগ্রে𒅌স যে পাপ করেছে উত্তরপূর্বে তার ফল ভোগ করছে এখন।
তিনি বলেন, কংগ্রেসের শাসনে নর্থ ইস্টকে এটিএম হিসাবে ব্যবহার করা হত। সরকারি টাকা মানুষের কাছে পৌঁছত না, সেটা কংগ্রেসের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদ✨ের পকেটে যেত।