হিমাচল প্রদেশের ভোটে জয় পেয়েছে কংগ্রেস। রেওয়াজ মেনেই পালাবদল হিমাচলে। কিন্তু এবার প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে কে বসবেন? এদিকে ইতিমধ্য়েই একাধিক ব্যক্তি এই চেয়ারের দাবিদার। তাঁদের মধ্য়ে উপযুক্ত কাউকে বেছে নেওয়া কংগ্রেস হাইকমান্ডের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তারই মধ্যে শুক্রবার কংগ্রেস সভানেত্রী প্রতিভা সিংয়ের সমর্থকরা ওবেরয় সেসিল হোটেলের বাইরে দলে দলে জড়ো হয়ে যান। ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘের কনভয়কেও আটকে দেন তাঁরা। মূলত প্রতিভা সিংকে মুখ্য়মন্ত্রীর চেয়ারে বসানোর দাবি তুলেছেন তাঁরা।এসবের মধ্যে কংগ্রেসের একাধিক নেতৃত্ব আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এবার বিজেপি বিধায়কদের ভাঙানোর চেষ্টা করছে। সেক্ষেত্রে সতর্ক থাকা দরকার।সূত্রের খবর, এদিনই সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসেছেন বিধায়করা। সেখানে হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেসের ইন চার্জ রাজীব শুক্লা, পর্যবেক্ষক তথা ছত্তিশগড়ের মুখ্য়মন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল, কংগ্রেস নেতা ভূপেন্দ্র হুড়া প্রমুখ উপস্থিত রয়েছেন। সূত্রের খবর, বিধায়করা নিজেরাই মুখ্যমন্ত্রীর নাম প্রস্তাব করতে পারেন অথবা কংগ্রেস হাইকমান্ড এনিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। এদিকে এবারের নির্বাচনে কংগ্রেস কাউকেই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে প্রজেক্ট করেনি। কিন্তু ভোটে জেতার পরে এখন মুখ্যমন্ত্রী বাছাই নিয়ে আলোচনায় বসছে কংগ্রেস।ইতিমধ্যেই কংগ্রেস নেতা রাজীব শুক্লা জানিয়েছেন, ভগবানের আশীর্বাদে আমরা দেবভূমিতে সংখ্য়াগরিষ্ঠতা পেয়েছি। আমরা মানুষের প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টা করব। ভূপেশ বাঘের সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, কাউকে অবহেলা করার কোনও ব্যাপারই নেই। সকলকে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাব আমরা। সকলের মতামত দেওয়ার অধিকার রয়েছে। এনিয়ে কোনও সমস্যা হবে না।এদিকে প্রতিভা সিংয়ের দিকেই এখনও পর্যন্ত পাল্লা ভারি বলে খবর সূত্রের। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, তারা বীরভদ্র সিংয়ের পরিবারকে অস্বীকার করতে পারেন না। আমরা তাঁর নামেই জিতেছি। তাঁর নাম, মুখ, পরিবারকে ব্যবহার করব আর অন্য় কাউকে ক্রেডিট দেব এটা হতে পারে না।তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, মুখ্য়মন্ত্রীর চেয়ারকে ঘিরে কংগ্রেসের অন্দরে দ্বন্দ্বের মেঘ এবার কতটা কাটে সেটাই দেখার।