বাঁকুড়া এবার বিষ্ণুপুরে জোরদার টক্কর। একদিনের ব্যবধানে সেখানে এসে নিজেদের প্রার্থীদের হয়ে সভা করে গেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কেন্দ্রে মুখোমুখি টক্কর একদা স্বামী স্ত্রী সৌমিত্র খাঁ এবং সুজাতা মণ্ডলের। এবারেও বিজেপির টিকিটেই লড়ছেন সৌমিত্র, অন্যদিকে সুজাতাকে দিয়েই মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৪ সালে এই আসনে ১ লক্ষের বেশি ভোটে জিতেছিলেন তৃণমূলের প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। এরপর ২০১৯ লোকসভায় তিনি প্রার্থী হন বিজেপির। সেই সময় বিভিন্ন মামলা চলায় বিষ্ণুপুরে ভোটের প্রচারই ঠিক মতো করতে পারেননি তিনি। তাঁর হয়ে প্রচার চালিয়ে সৌমি𓆏ত্রকে প্রায় ৭৮ হাজার ভোটে জিতিয়েছিলেন সুজাতা।
এর কয়েক বছরের মধ্যেই সম্পর্কে অবনতি হয় তাঁদের। শেষ পর্যন্ত এখন একে অপরের বিপক্ষেই লড়ছেন। ভূমিপুত্রের সঙ্গে ভূমিকন্যার লড়াইয়ের জেরে সেখানকার মানুষও কিছুটা দোটানায়। সুজাতার হয়ে এবা𒁃রে তিনটি সভা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিদির সম্মান রাখতে পারবেন তো সুজাতা, HT বাংলার মুখোমুখি হয়ে দিলে✃ন সেই প্রশ্নের উত্তর। বললেন, ‘মমতা দি আমার জন্য তিনটি সভা করেছে এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দুটি করছে। এটা আমার কাছে বিশাল ব্যাপার।’
আরও পড়ুন-HT Bangla Exclus🐈ive-ব্যারাকপ꧂ুরে শান্তিদূত হতে চান সিপিএমের দেবদূত
HT বাংলার তরফে প্রশ্ন করা হয়, সৌমিত্র খাঁর কেন্দ্র তো, কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
সুজাতা মণ্ডল- মহিলাদের যে সাড়া পাচ্ছি, তা ভ🅺াষায় প্রকাশ করতে পারছি না। ঘরের মেয়েকে পেয়ে তাঁরা উচ্ছসিত। নেত্রী এবং𝔉 অভিষেকের আসা আনন্দের জোয়ার বইয়ে দিয়েছে।
সৌমিত্র খাঁর সঙ্গে লড়াই চ্যালেঞ্জিং?
সুজাতা মণ্ডল-বিꦕষ্ণুপুরের মানুষকে এলাকার সাংসদ ১০ বছর ধরে ঠকিয়ে এসেছে, কোনও কাজ করেননি। দেখা পাওয়া যেত না। নিজেকে ছাড়া কাউকে দেখেননি।
এর আগে বিধানসভা ভোটে তো হেরে গেছিলেন…
সুজাতা মণ্ডল- আরামবাগে কিছু গদ্দারদের জন্য হেরে গেছিলাম। অল্প ব্যবধানে হেরে ছিলাম। নাহলে তো জ൩িতেই জেতাᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚম। আর ওটা আমার নিজের কেন্দ্র ছিল না। পর আর ঘর কখনও এক হয়না, এটা আমার ঘর।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এসেছেন প্রচারে সৌমিত্র খাঁর হয়ে…
সুজাতা মণ্ডল-নরেন্দ্র মোদীর প্রচার পুরো ফ্লপ হয়েছে। উল্টে চাষিদের জমি হেলিপ্যাড বানানোর জন্য নষ্ট করে দিয়েছে, তাঁরা ক্ষোভে ফুঁসছে। এবার সৌমিত্র খা𓆉ঁ দাড়াতেই পারবে না, দেখুন না।
আরও পড়ুন🍌-ভোটের সাতকাহন- ‘অর্জুন সুবিধা করতে পারবে না,ভোট মেশিনারি আমরাও বুঝি’-পার্থ ভোমিক
২০১৯ এ বিজেপির জন্য লড়েছিলেন , আবার ২০২৪-এ লড়ছেন তৃণমূলের হয়ে…
সুজাতা মণ্ডল-বিজেপির সর্বোচ্চ নেতাকে এখানে আসত𒁏ে হয়েছে আমায় হারা🗹নোর জন্য। এর আগে পর্যন্ত কখনও বিষ্ণুপুর লোকসভায় নরেন্দ্র মোদী প্রচার করতে আসেননি। তাহলে বুঝে নিন, বিজেপি আমায় কতটা ভয় পেয়েছে। তখনকার পরিস্থিতি একরকম ছিল, এখন আলাদা। আমার জন্য দিদি তিনটি সভা করেছেন এবারে, এটা রেকর্ড। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন প্রার্থীর জন্য তিনবার সভা বোধহয় গোটা দেশে আর কোথাও করেনি। এটা আমার প্রেস্টিজ ফাইট।
বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব বাংলায় এসে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন, সন্দেশখালি কাণ্ড প্রভাব ফেলবে না?
সুজাতা মণ্ডল-আমিও বলতে পারি বিজেপি মানে বিশ্ব জালি পার্টি, ভারতীয় জঘন্য পার্টি। এটা তৃণমূলকে বদনাম করার জন্য যে করা হয়েছে, সেটা গঙ্গাধ🌺র কয়ালের কথা থেকেই বোঝা যাচ্ছে। তাই সেখানকার কোনও এফেক্ট বিষ্ণুপুরে পড়বে না।
আর রামমন্দির?
সুজাতা মণ্ডল-দেখো আমিও হিন্দু বাড়ির মেয়ে, পুজো করি, ভগবানে বিশ্বাস করি। সবই করি, কিন্তু তাই বলে আলাদা কর๊ে রামমন্দির ইস্যু ভোটে কোনও প্রভাব ফেলবে না, আমি নিশ্চিত🍌ভাবে বলতে পারি।
আরও পড়ুন-HT Bangla exclusive- ভোটের সাতকাহন-দিলীপ দা চলে যাওয়ায় মন খারাপ ছিল,এখন ওরা সবাই খুশি-অগ্নিমিত𒁃্রা পাল
গ্রাম বাংলায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সৌজন্য মহিলাদের মধ্যে এমনিতেই ব্যাপক জনপ্রি꧋য়তা রয়েছে তৃণমূলের। যদিও বাঁকুড়া সংলগ্ন এলাকায় বিজেপিরও ভালো পকেট ভোটার রয়েছে। রামমন্দীরও হওয়ায় হিন্দু ভোট বিজেপির অটুট থাকার সম্ভাবনা প্রবল। এই আবহে মহিলা ভোট কিছুটা টানা গেলেই কেল্লা ফতে। সেই কারণেই তৃণমূল নেত্রীর মাস্টারস্ট্রোক সৌমিত্র খাঁর বিরুদ্ধে তাঁরই প্রাক্তন স্ত্রী। শুধু ভূমিকন্যা হিসেবেই নন, সুজাতার প্রতি সমবেদনার জায়গা থেকেও ভোটে অঙ্কে লাভ করতে মরিয়া তৃণমূল। ফলে আসন আদৌ বিজেপি নিজেদের দখলে আনতে পারে কিনা, এখন সেটাই দ༒েখার।