উত্তরপ্রদেশে ফের একবার বিশাল ব্যবধানে জিতে সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি। ভোট প্রচারের ময়দানে বিজেপিকে কড়া টক্কর দেওয়ার কথা বললেও ইভিএমে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি অখিলেশ যাদবের ক্ষেত্রে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে গিয়ে প্রচার করিয়েও বিজেপির ধারের কাছে আসতে পা𓆉রেনি সমাজবাদী পার্টি। তবে এই হারেও ‘প্রাপ্তি’ খুঁজে পেয়েছেন অখিলেশ যাদব। শুক্রবার সকালে এক টুইট করে অখিলেশ বলেন, ‘আমরা দেখিয়ে দিয়েছি যে বিজেপির আসন সংখ্যা কমানো সম্ভব।’
সকালে অখিলেশ টুইট বার্তায় লেখেন, ‘আমরা দেখিয়ে দিয়েছি যে বিজেপির আস🉐ন কমানো যেতে পারে। বিজেপির পতন অব্যাহত থাকবে। অর্ধেক ভুল বোঝাবুঝি চলে গিয়েছে, বাকি অর্ধেকও যাবে।’ উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হিন্দিতে লেখেন, ‘উত্তরপ্রদেশের জনগণ আমাদের আসন আড়াই গুণ বৃদ্ধি করেছেন। এদিকে আমাদের ভোটের ভাগ দেড় গুণ বৃদ্ধি করেছেন উত্তরপ্রদেশের জনগণ। এর জন্য আমরা আপনাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।’ তিনি আরও লেখেন, ‘জনকল্যাণের জন্য আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।’
উল্লেখ্য, ৪০৩টি আসন বিশিষ্ট উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে গতবার হাফসেঞ্চুরির গণ্ডিও পার করতে পারেনি সমাজবাদী পার্টি। এবার সেই সংখ্যা ১১১-তে গিয়ে দাঁড🌟়িয়েছে। বিজেপি নিজে ২৫৫টি আসনে জিতেছে। বাকি ১৮টি আসনে বিজেপির জোটসঙ্গীরা জিতেছে। এই আবহে ৩৭ বছর পর কোনও দল ফের একবার উত্তরপ্রদেশে টানা দ্বিতীয়বার ক্ষমতা ধরে রাখতে সক্ষম হল। পাশাপাশি যোগী আদিত্যনাথ উত্তরপ্রদেশের প্রথম এমন একজন মুখ্যমন্ত্রী হন যিনি পাঁচবছরের পূর্ণ মেয়াদ পার করার পরও জিতলেন এবং নিজের দলকে জেতাতে সক্ষম হলেন। উল্লেখ্য, তিনি নিজে এই প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। অখিলেশ যাদবও রাজনৈতিক চাপে কারহাল কেন্দ্র থেকে লড়েন এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাঘেলকে হারিয়ে জয়ী হন। তবে তাঁর দল সেভাবে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করতে পারেনি।