বারাসতে তৃণমূল নেতার বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ির মহিলা সদস্যদের মারধর করার অভিযোগ উঠল ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটে বারাসত ২ নম্বর ব্লকের রোহন্ড গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এখানেই তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি আজগার আলির বাড়িতে হামলা চালিয়ে স্থানীয় পার্টিঅফিস ভাঙচুর করেছে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের কর্মী–সমর্থকরা। এমনই অভিযোগ তৃণমূলের।মধ্যমগ্রাম থানায় ইতিমধ্যে অভিযোগ দায়ের করেছেন অঞ্চল সভাপতি আজগার আলি। তাঁর অভিযোগ, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাঁর বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন আব্বাস সিদ্দিকীর সমর্থকরা। বাড়ির মেয়েদের হেনস্থা করার পাশাপাশি তাঁদের গায়ে হাতও তুলেছে। এর পরই তারা চলে যায় স্থানীয় তৃণমূল কার্যালয়ে। সেখানেও ভাঙচুর চালিয়েছে তারা। এ ঘটনায় ৭ জনের নাম সামনে এসেছে। তাদের খোঁজে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।এদিকে, অভিযোগ অস্বীকার করেছে আব্বাস সিদ্দিকীর সমর্থক তথা ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের কর্মী–সমর্থকরা। তাঁদের দাবি, শুক্রবার রোহন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের দিয়ারা গ্রামে তাঁরা দলীয় বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়েছিলেন। সে সময় দিয়ারা গ্রামের তাঁদের বাধা দেন তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকরা।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এর পরই তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আজগার আলিকে এ নিয়ে অভিযোগ জানাতে তাঁর বাড়িতে চড়াও হয় আব্বাস সিদ্দিকীর অনুগামীরা। তাঁকে না পেয়ে বাড়ির মহিলাদেরকে মারধর ও হেনস্থা করে তারা, এমনই অভিযোগ। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে মধ্যমগ্রাম থানার বিশাল পুলিসবাহিনী। শনিবার সকাল থেকেও ওই এলাকায় রয়েছে পুলিশি পিকেট।