ছত্রধর মাহাতোকে দু’দিনের এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দিল কলকাতার ব্যাঙ্কশাল আদালত। আগামী ৩০ মার্চ এনআইএ’র বিশেষ আদালতের পেশ করা হবে ছত্রধরকে। তবে আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, পরবতী শুনানির সময়ে যদি ধৃতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন মেলে, সেক্ষেত্রে তদন্তকারীরাই দায়ী থাকবেন। এদিন ১৪ দিনের হেফাজত চেয়েছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু আদালত দু’দিন দিয়েছে। লালগড়ে ভোট মিটতেই রবিবার ভোরে ছত্রধর মাহাতোকে গ্রেফতার করে এনআইএ।জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর মূলস্রোতের রাজনীতিতে যোগ দেন ছত্রধর মাহাতো। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক হন তিনি। শনিবার, প্রথম দফায় ভোট ছিল ঝাড়গ্রামে। দীর্ঘদিন ১১ বছর লালগড়ে আমলিয়া গ্রামে নিজের বুথে গিয়ে ভোট দেন ছত্রধর। আর ভোরে বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে এনআইএ। এই গ্রেফতারি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে সরব হয় ছত্রধরের আইনজীবীরা। জানা গিয়েছে, ১৬, ১৮, ২২ মার্চ এনআইএ’র পক্ষ থেকে ছত্রধরকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। হাজিরা না দেওয়াতেই শেষপর্যন্ত গ্রেফতার হতে হল।এই বিষয়ে ছত্রধর মাহাতোর ছেলে ধৃতি মাহাতোও বলেন, ‘জ্ঞানেশ্বরী কাণ্ডে যখন অভিযুক্তদের আটক করা হল, তখন বাবা সিবিআই হেফাজতে ছিলেন। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল আগামী ২১ তারিখ পর্যন্ত সপ্তাহে তিনদিন এনআইএ অফিসে হাজিরা দিতে। গত শুক্রবারও বাবা কলকাতায় গিয়ে এনআইএ অফিসে হাজিরা দিয়েছিলেন। তাহলে গভীর রাতে এভাবে তাঁকে আটক করা হবে কেন?’ছত্রধরের আইনজীবীর দাবি, প্রবীর মাহাতো খুনের মামলায় সম্প্রতি তিনবার তাঁকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু দাঁতে ব্যথার কারণে হাজিরা দিতে পারেননি ছত্রধর। সেকথা তদন্তকারীদের জানানোও হয়েছিল। অভিযুক্তের আইনজীবী আরও বক্তব্য, গ্রেফতারের সময়ে ছত্রধরের মা ও স্ত্রীকে গালিগালাজ, এমনকী মারধরও করেছেন এনআইএ আধিকারিকরা। তিনি একটি রাজনৈতিক দলে হয়ে কাজ করছেন বলেই এত রাগ! ছত্রধরের স্ত্রী নিয়তি মাহাতোর অভিযোগ, ‘বারবার এনআইএ সরাসরি ছত্রধরকে বিজেপিতে যোগদানের কথা বলেছিল। তা হলে তাঁকে ছাড় দেওয়া হবে, এমন কথাও জানানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি। তাই চক্রান্ত করেই তাঁকে গ্রেফতার করা হল।’