অবশেষে বাকি চার দফা নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করল বিজেপির কেন্ꦍদ্রীয় নেতৃত্ব। আর তাতে আছে সব সাংঘাতিক চমক। সরাসরি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি রাজনীতির মাঠে নামিয়ে দেওয়া হল। যা কিনা রীতিমতো চ্যালেঞ্জের। কারণ তিনি বরাবর পেছন থেকেই খেলে থাকেন। এখন তাঁকে সরাসরি মাঠে নেমে পরীক্ষা দেওয়াতে চায় মোদী–শাহরা। তাই একসময় তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড মুকুল রায়কে কৃষ্ণনগর উত্তর আসনে বিজেপি প্রার্থী করল। বস্তুত সাংগঠনিক নেতা হিসেবে বরাবর সমাদর পেয়ে এসেছেন মুকুল রায়। হয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ। কেন্দ্রীয় রেল বা জাহাজ মন্ত্রকের মন্ত্রীও। কিন্তু ২০০১ সালের পর আর ভোটে দাঁড়াননি মুকুল রায়। দীর্ঘ কুড়ি বছর পর এবার তাঁকে আবার ভোটের ময়দানে নামাল 🐽গেরুয়া শিবির।
মুকুল রায় রাজি ছিলেন না। কিছুদিন আগে তিনি বলেছিলেন, এখন সময় এসেছে সব ছাড়ার। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকেও জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি ভোটের ময়দানে নামতে চান না। কিন্তু সেই সুপারিশ কার্যকর হয়নি। বরং বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ভোটে লড়ার সম্ভাবনা থাকলেও তাঁকে শুধু প্রচারের দায়িত্বই দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মুকুল রায়কে ভোটে দাঁড় করানো নিঃসন্দেহে 🦹বিজেপির চমক। উল্লেখ্য, মুকুল পুত্র শুভ্রাংশুকে তাঁর নিজের কেন্দ্র বীজপুর থেকেই প্রার্থী করল দল।
এদিকে শুধু মুকুল রায়ই নন, তাঁর হাত ধরে বিজেপিতে যাওয়া সব্যসাচী দত্ত, মুকুল–পুত্র শুভ্রাংশু, শীলভদ্র দত্ত, গৌরীশঙ্কর ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚদত্তদেরও প্রার্থী করেছে বিজেপি। অন্যদিকে রূপোলি পর্দা থেকে বরানগর বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন পার্ণো মিত্র, নৈহাটি থেকে ফাল্গুণী পাত্র, ভবানীপুর থেকে রুদ্রনীল ঘোষ, পাণ্ডবেশ্বর থেকে জিতেন্দ্র তিওয়ারী, আসানসোল দক্ষিণ থেকে অগ্নিমিত্রা পাল, চৌরঙ্গী থেকে শিখা মিত্র–সহ আরও অনেক হেভিওয়েট নেতানেত্রী টিকিট পেয়েছেন। তবে এই প্রার্থী তালিকা নিয়েও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখা দিতে পারে। আর তার জেরে বিক্ষোভ দেখা দিতে পারে বলে সূত্রের খবর।