একুশের বিধানসভা নির্বাচনের দোরগোড়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আক্রমণ নেমে এসেছে বলে অভিযোগ। নন্দীগ্রাম কাণ্ড নিয়ে এখন সরগরম রাজ্য–রাজনীতি। এই পরিস্থিতি থেকে দৃষ্টি ঘোরাতেই জ্ঞানেশ্বরী এবং নেতাই কাণ্ডের জন্য তৃণমূল সুপ্রিমোকেই দায়ী করলেন বিজেপির ঝাড়গ্রাম বিধানসভার প্রার্থী সুখময় শতপথী। তিনি অভিযোগ করেন, ‘জ্ঞানেশ্বরী এবং নেতাইকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরোক্ষ ‘মদত’ রয়েছে।’ এই মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা জঙ্গলমহল এলাকার রাজ্য সম্পাদক ছত্রধর মাহাতো। তিনি অভিযোগ করেন, ‘একমাত্র বিজেপিই পারে লাশ নিয়ে নাচানাচি করতে।’ সুতরাং এখন জঙ্গলমহলও ভোটের তাপে তপ্ত।প্রচারে গিয়ে ঝাড়গ্রামের বিজেপি প্রার্থী দাবি করেন, জ্ঞানেশ্বরী এবং নেতাইয়ের ঘটনা যখন ঘটে তখন ছত্রধর মাহাতো তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি ছিলেন। তাই উভয় ঘটনার ক্ষেত্রেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘মদত’ ছিল। যার জবাবে ছত্রধর বলেন, ‘জ্ঞানেশ্বরী ও নেতাই দুটো ঘটনাই ঘটে ২০১০ সালে। তার আগে আমি গ্রেফতার হয়েছি ২০০৯ সালে। তখন আমি তৃণমূলের কোনও পদে ছিলাম না। তাই এসব পাগলের প্রলাপ ছাড়া কিছুই নয়।’কিন্তু নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে বিজেপি প্রার্থী অন্য কোনও বিষয় নিয়ে না বলে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে আক্রমণ করেন। যার জবাব দিতে গিয়ে ছত্রধর বলেন, ‘আজ সুখময়বাবুর সভায় যে মানুষগুলি এসেছিলেন, উনি কি পারবেন তাঁদের মেরে ফেলতে? ওই ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ছিল উনি কিসের ভিত্তিতে দাবি করছেন? একমাত্র বিজেপিই পারে লাশ নিয়ে নাচানাচি করতে। আমার বিরুদ্ধে কী ধরনের মামলা রয়েছে সেটা না জেনে একজন রাজনীতিবিদকে নিয়ে এই ধরনের মন্তব্য করা অন্যায়।’ লোকসভা নির্বাচনে সাফল্য পেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু এখানে বিধানসভা নির্বাচনে তা পাবে না বলেই দাবি করেছেন ছত্রধর।বিধানসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলে কোনওভাবেই ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের মতো ছবি হবে না বলে আত্মবিশ্বাসী ছত্রধর। তাঁর দাবি, আদিবাসীদের সামাজিক বন্ধন সৌহার্দ্য নষ্ট করতে চাইছে বিজেপি। আর সাধারণ মানুষ বিজেপির সেই চেষ্টা ধরে ফেলেছে। প্রথম দফাতেই জঙ্গলমহলে ভোট আছে। অর্থাৎ ২৭ মার্চ। তার ১১ দিন আগে সরগরম হয়ে উঠেছে জঙ্গলমহলের রাজনৈতিক বাতাবরণ। আর সবকিছুর উত্তর মিলবে ২ মে।