কাজলের চলে যাওয়ার বেদনাটা আপনজন হারানোর মতোই। রবিবার খড়দহের তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহার মৃত্যুর খবর শোনার পর এমনই বললেন একসময়ের সতীর্থ তথা ওই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত।কাজল সিনহার মৃত্যুর খবর পেয়ে কার্যত ভেঙে পড়েন একসময়ের তৃণমূল নেতা তথা বর্তমানের খড়দহের বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত। খড়দহ কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বলেন, ‘এবারের ভোটে আমরা পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলাম ঠিকই। কিন্তু এই লড়াইয়ের প্রভাব ব্যক্তিগত সম্পর্কে পড়েনি। ব্যক্তিগত স্তরে আমরা একে অপরের বন্ধু ছিলাম।’ একইসঙ্গে শীলভদ্র দত্ত বলেন, ‘কাজলের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ৩০ বছরের বেশি ছাড়া কম নয়।রাজনীতি বাদ দিলে কাজলের সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্কও ছিল।আমাদের সম্পর্ক রাজনীতির উর্ধে ছিল।যখন বিরোধী রাজনীতি করেছি, তখন পরস্পরের হাত ধরেই রাজনীতির পথে হেঁটেছি।এখন আমাদের রাজনীতির পথ আলাদা ছিল ঠিকই, কিন্তু বন্ধুত্বের সম্পর্কে কোনও বিচ্ছেদ আসেনি।পারিবারিক যোগ থেকেই গিয়েছে।তাই কাজলের এভাবে চলে যাওয়াটা আপনজন হারানোর বেদনা।কাজলের প্রয়াণে আমি শোকস্তব্ধ।’ এদিন শোকস্তব্ধ হয়েই বিজেপি প্রার্থী জানান,‘আর কী বলব ভেবে পাচ্ছি না।একসঙ্গে ছিলাম।একসঙ্গে লড়েছি।এই প্রথম মুখোমুখি লড়াই হল।সেই ফলটা দেখে গেলি না কাজল।ফল যাই হোক না কেন আমরা তো একসঙ্গেই থাকতাম।’উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল খড়দহ বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়।এর আগে গত ২১ এপ্রিল শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কাজল সিনহাকে বেলেঘাটা আই ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।২৩ এপ্রিল অবস্থার অবনতি হয়।শেষপর্যন্ত ভোটের ফল বেরোনোর আগেই এদিন সকালে মৃত্যু হয় খড়দহের তৃণমূল প্রার্থীর।এনিয়ে করোনা আবহে আরও এক প্রার্থীর মৃত্যু হল।