একঝলক দেখলে মনে হয় জন্মদ﷽িন বা অন্য কোনও উৎসবমুখর বাড়ি। সামনে বেলুন দিয়ে তৈরি গেট। তার সামনে সেজেগুজে দাঁড়িয়ে দুই ব্যক্তি। বাসিন্দাদের দাবি গোপাল ভাঁড়ের সাজেই এসেছেন তাঁরা। মাস্ক পরেই বুথের গেটে দিনভর দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁরা। আসলে বহরমপুরের কৃষ্ণনাথ কলেজিয়েট স্কুলের এই বুথকে একেবারে অভিনব সাজে সাজানো হয়েছিল এদিন। বাসিন্দাদের ভোটদানে উৎসাহ দেওয়ার জন্যই এই বিশেষ উদ্যোগ।
চড়া রোদে ভোটদানের ক্ষেত্রে যাতে কোনও সমস্য়া না হয় সেজন্য ছাউনিরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিশ্রান্ত ভোটারের হাওয়া খাওয়ার জন্য ফ্যানেরও ব্যবস্থা রয়েছে। গোলাপী আর সাদা রঙের বেলুন দিয়ে ღসাজানো বুথের প্রবেশপথ। কোথাও কোনও অশান্তির আঁচ নেই। অনেকে একেবারে সপরিবারে বুথে আসেন। বাচ্চাদেরও সঙ্গে আনেন অভিভাবকরা। বাড়ি ফেরার 𝔉পথে সেই বাচ্চাদের হাতে তুলে দেওয়া হল লোভনীয় চকোলেট। তবে শুধু বাচ্চারই নয়, বাচ্চাদের বাবা, মা, ঠাকুমা. দাদুদের হাতেও তুলে দেওয়া হল মাস্ক আর চকোলেট। গণতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ উৎসবে আক্ষরিক অর্থেই উৎসবের ছবি কৃষ্ণনাথ কলেজিয়েট স্কুলের এই বুথে।
প্রশাসন সহ বিভিন্ন সূত্রে খবর, মডেল বুথ হিসাবে গড়ে তোলা হয়েছে এই বুথকে। বাসিন্দারা যাতে আরও বেশি করে ভোটদান পর্বে 🅺শা🅠মিল হন সেকারণেই এই বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে বাসিন্দারাও যথেষ্ট স্বস্তিতে ভোট দেন। এমন অভিনব বুথে এসে অত্যন্ত খুশি ভোটাররা। তবে বাসিন্দাদের একটাই প্রশ্ন, এমন ছবি কেন দেখা যায় না বাংলার অন্য প্রান্তে?