বাম–কংগ্রেসের আসন রফা নিয়ে জট কাটলেও 'ভাইজান' পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকিকে নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। এমনকী 'ভাইজান'-এর দলকে আইএসএফ নিয়ে নাকানিচোবানি খাচ্ছে বাম–কংগ্রেস। কারণ ভাইজানের দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট আসনের তালিকা তৈরি করে অধীরের দলকে আল্টিমেটাম দিয়েছে। আর তারপরেই চড়া সুরে প্রদেশ নেতৃত্ব জানিয়েছে, আব্বাসের দাবি মানা কোনওভাবেই সম্ভব নয়। মুর্শিদাবাদ–মালদহ জেলায় একটাও আসন তাঁদের ছাড়া যাবে না। আসলে কংগ্রেসের ঘাঁটি থেকে আসন ছাড়তে নারাজ হাত শিবির।আর ভাইজানের দল ওই জেলাতেই একাধিক আসন দাবি করে বসেছে। এমনকী তার মধ্যে রয়েছে কংগ্রেসের বেশ কয়েকটা জেতা আসন। আর তাতেই আঁতে ঘা লেগেছে কংগ্রেসের। সুজাপুর পশ্চিম প্রয়াত কংগ্রেস নেতা গনি খানের কেন্দ্র। এখানে একটা সেন্টিমেন্ট রয়েছে প্রদেশ নেতৃত্বের। সেটা চেয়ে বসেছেন আব্বাস বলে সূত্রের খবর। এছাড়া মোহিত সেনগুপ্ত, মিল্টন রশিদদের জেতা আসনও দাবি করেছেন আব্বাস। তাতেই সব সমীকরণ গণ্ডগোল হয়ে গিয়েছে। সিপিআইএম খানিকটা নমনীয় হয়ে আব্বাসের দলকে জলঙ্গির জেতা আসন ছেড়েছে। কিন্তু কংগ্রেস মালদহ–মুর্শিদাবাদে আসন ছাড়া সম্ভব নয় বলে আলিমুদ্দিনকে জানিয়ে দিয়েছে। সুতরাং আব্বাসের সঙ্গে জোট নাও হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।সূত্রের খবর, আইএসএফের চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকি ফোন করে ধরতে পারেননি আবদুল মান্নানকে। আবার আসনরফা নিয়ে একটা বৈঠকেও উপস্থিত ছিলেন না আব্বাস সিদ্দিকি (ভাইজান)। এখন প্রশ্ন উঠছে, বিমান বসুও বৈঠকে উপস্থিত থাকছেন। তাহলে আব্বাস থাকছেন না কেন? এটা কি আসন সংখ্যা বাড়ানোর জন্য চাপ তৈরি? কংগ্রেসের বক্তব্য, অন্য জায়গায় আটটি আসন দিতে রাজি তারা। কিন্তু মালদহ–মুর্শিদাবাদ নয়। শনিবার ফের বৈঠকে বসতে চলেছেন বিমান বসু–প্রদীপ ভট্টাচার্য। এই পরিস্থিতি ভাবিয়ে তুলেছে আলিমুদ্দিনকে।জানা গিয়েছে, আইএসএফের আবদার মেটাতে মোট ২৭টি আসন ছাড়ছে বামেরা। নতুন জোট শরিককে সিপিএম একাই ছেড়ে দিচ্ছে ২০টি আসন। বাকি ৭টির মধ্যে রয়েছে ফরওয়ার্ড ব্লকের চারটি, আরএসপির দুটি ও সিপিআই একটি আসন। কিন্তু কংগ্রেস যেভাবে বেঁকে বসেছে তআব্বাসইজানকে নিয়ে কতটা জোট করা সম্ভব হবে, তা নিয়ে সন্দিহান সবপক্ষই।