মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভায় এবারের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন গিয়াসুদ্দিন মোল্লা। এই আসনে বিজেপির প্রার্থী হলেন মানস সাহা। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন আইএসএফের মইদুল ইসলাম মোল্লা।দক্ষিণ ২৪ পরগনা প্রেসিডেন্সি বিভাগের অন্তর্ভুক্ত জেলা। জেলার সদর আলিপুরে। এই জেলার উত্তর দিকে কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব দিকে বাংলাদেশ, পশ্চিম দিকে হুগলি নদী ও দক্ষিণ দিকে বঙ্গোপসাগর রয়েছে। মগরাহাট পশ্চিম এই জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। আগামী ৬ এপ্রিল মগরাহাট পশ্চিমে তৃতীয় দফায় ভোটগ্রহণ হবে। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী গিয়াসুদ্দিন মোল্লা জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৮৭,৪৮২৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী খালিদ ইবাদুল্লা৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৭১,৫৯৩৷ তৃণমূল প্রার্থী গিয়াসুদ্দিন মোল্লা নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস প্রার্থী খালিদ ইবাদুল্লাকে ১৫,৮৮৯ ভোটে পরাজিত করেছিলেন।২০০৬ সালের নির্বাচনে বামেদের প্রার্থী আবুল হাসনাত মগরাহাট পশ্চিম কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের মহম্মদ গিয়াসউদ্দিন মোল্লাকে পরাজিত করেছিলেন। ২০০১ সালে বামেদের নূর রহমান তৃণমূলের গিয়াসউদ্দিন মোল্লাকে এই আসনে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের মহম্মদ আবুল বাশার লস্কর বামেদের অনুরাধা পুততুণ্ডকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৯১ সালের বামপ্রার্থী অনুরাধা পুততুণ্ড কংগ্রেসের মহম্মদ আবুল বাশার লস্করকে এই আসনে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৮৭ সালে বামেদের আবদুস শোভান গাজি কংগ্রেসের কিরণময় দেবকে নির্বাচনে হারিয়ে দিয়েছিলেন। ১৯৮২ ও ১৯৭৭ সালে কংগ্রেসের সুধেন্দু মণ্ডল এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৭১—৭২ সালে বাংলা কংগ্রেসের সুধেন্দু মণ্ডল জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬৯ সালে বাংলা কংগ্রেসের শচীন্দ্রনাথ মণ্ডল মগরাহাট পশ্চিম কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬৭ সালে বাংলা কংগ্রেসের মহম্মদ মইনুল আবেদিন এই আসনে জিতেছিলেন। ১৯৬২ সালে কংগ্রেসের মহম্মদ আবদুল হাশেম জিতেছিলেন। ১৯৫৭ ও ১৯৫১ সালে মগরাহাট একটি যৌথ আসন ছিল। উভয় নির্বাচনে, কংগ্রেসের আবদুল হাশেম ও অর্ধেন্দুশেখর নস্কর উভয়ই মগরাহাট কেন্দ্রর যৌথ আসন থেকে জিতেছিলেন।