কয়েক সপ্তাহ আগে গলায় শোনা গিয়েছিল ‘খেলা হবে’ স্লোগান। এবার নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করলেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি। দু'জনের মধ্যে প্রায় ৪০ মিনিটের বৈঠক হয়। পরে তিনি জানান, ভোটের আগে ফুরফুরা শরিফে যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।বৃহস্পতিবার নবান্নে আসেন ত্বহা। মিনিট ৪০-এর বৈঠক শেষে তিনি জানান, রাজনৈতিক কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়নি। আগামী ৬ মার্চ থেকে ফুরফুরা শরিফে তিনদিনের যে ধর্মসভা আছে, তা নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে। কীভাবে সেই ধর্মসভার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, কীভাবে আয়োজন করা হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে দাবি করেন তহ্বা। রাজনৈতিক আলোচনা ‘না’ হলেও ত্বহা দাবি করেন, মমতা আশ্বস্ত করেছেন যে বিধানসভা ভোটের আগে ফুরফুরা শরিফে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করবেন। বিধানসভা ভোটের আগে মমতা যদি ফুরফুরা শরিফে যান, তা রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হবে বলে মত পর্যবেক্ষকদের। বিশেষত পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি ইতিমধ্যে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট গড়ে বিধানসভা ভোটের লড়াইয়ে নামার ঘোষণা করে দিয়েছেন। বাম-কংগ্রেসের জোট নিয়ে আলোচনা চলছে। সেই জট পুরোপুরি না কাটলে একা লড়াইয়েরও বার্তা দিয়েছেন আব্বাস। তবে যাই হোক না কেন, আব্বাসের দলের ফলে তৃণমূলের মুসলিম ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসবে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। আপাতত বাংলায় ৩০ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যা। সেই পরিস্থিতিতে বিজেপিকে রুখতে যতটা বেশি সম্ভব মুসলিম ভোট নিজেদের ঝুলিতে পুরতে মরিয়া থাকবে তৃণমূল। আব্বাসদের লড়াইয়ের ভোট কাটাকুটির অঙ্কে ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তার ফলে মমতার ফুরফুরা শরিফ সফর রীতিমতো রাজনৈতিক বিচারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের।