এই কেন্দ্রে এবারে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সূর্যকান্ত অট্ট।বিজেপির তরফ থেকে দাঁড়াচ্ছেন রামপ্রসাদ গিরি। অন্য দিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিএম প্রার্থী তাপস সিনহা।মেদিনীপুর বিভাগের একটি জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর। ২০০২ সালের ১ জানুয়ারি অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলাকে দু’ভাগে ভাগ করে এই জেলা স্থাপিত হয়। এই জেলায় তিনটি মহকুমা রয়েছে খড়্গপুর, মেদিনীপুর সদর ও ঘাটাল। নারায়ণগড় এই জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। আগামী ১ এপ্রিল নারায়ণগড়ে ভোটগ্রহণ হবে।২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী প্রদ্যুৎকুমার ঘোষ৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৯৯,৩১১৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন বাম প্রার্থী সূর্যকান্ত মিশ্র৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৮৫,৭২২৷ তৃণমূল প্রার্থী প্রদ্যুৎকুমার ঘোষ তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাম প্রার্থী সূর্যকান্ত মিশ্রকে ১৩,৫৮৯ ভোটে পরাজিত করেছিলেন।সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের গড় বলেই পরিচিত নারাযণগড়। এখান থেকেই তাঁর যাবতীয় উত্থান। ২০০৬ সালের নির্বাচনে সিপিআইএমের সূর্যকান্ত মিশ্র তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের সলিলকুমার দাস পট্টনায়ককে পরাজিত করেছিলেন। ২০০১ সালের নির্বাচনে সূর্যবাবু তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের সলিলকেই পরাজিত করেছিলেন। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনেও সূর্যবাবু তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সলিলকে পরাজিত প্রতিদ্বন্দ্বী। মোট চারবার (১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৬ সালে) রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে নারায়ণগড় বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন সূর্যকান্ত। ওই বছরেও তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সলিলকুমার দাস পট্টনায়ক। কিন্তু তিনি সূর্যবাবুর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। তার আগে অবশ্য ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের দুর্গেশ মিশ্রকে পরাজিত করেছিলেন সলিল। ১৯৮৭ সালে সিপিআইএমের বিভূতিভূষণ দে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের তিমিরবরণ পাহাড়ি ও ১৯৮২ সালে কংগ্রেসের কৃষ্ণদাস রায়কে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৮৭ সালেও সিপিএমের বিভূতিভূষণ দে কংগ্রেসের তিমিরবরণ পাহাড়ি ও ১৯৮২ সালে কংগ্রেসের কৃষ্ণদাস রায়কে এই আসনে পরাজিত করেছিলেন।১৯৭৭ সালে কংগ্রেসের কৃষ্ণদাস রায়, ১৯৭৭ সালে জনতা পার্টির মিহিরকুমার লাহাকে পরাজিত করেছিলেন বিভূতিভূষণ। ১৯৫৭ সালে নারায়ণগড় কেন্দ্রে আসন ছিল না। দেশের প্রথম নির্বাচনে নারায়ণগড় কেন্দ্রটি যৌথ আসন ছিল। কেএমপিপি’র সুরেন্দ্রনাথ প্রমাণিক ও বিজেএসের কৃষ্ণচন্দ্র সতপথী সর্বপ্রথম এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন।