তৃণমূল কংগ্রেসে যেন ছোঁয়াচে রোগ লাগল! বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে বিদ্রোহের আগুন দেখেছিল মানুষজন। এবার সেই ছবি দেখা গেল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসেও। মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গিতে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তাতে প্রকাশ্যে চলে এল। এখানে দলের ঘোষিত প্রার্থী পছন্দ না হওয়ার জেরে বিদ্রোহী হলেন স্থানীয় নেতা–কর্মীরা। তাতে প্রথম দফার নির্বাচনের আগে অস্বস্তি বাড়ল ঘাসফুল শিবিরে। আর তার জেরে পাল্টা প্রার্থীও ঘোষণা করলেন তাঁরা। মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সদস্য রাফিকা সুলতানাকে নির্দল প্রার্থী করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথাও ঘোষণা হল। ঠিক কী ঘটেছে? এই জলঙ্গি বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রার্থী করা হয়েছে আব্দুর রাজ্জাককে। আর তাতেই ক্ষেপে উঠেছে ঘাসফুল শিবিরের অন্য একটি অংশ। এই পরিস্থিতিতে সিপাহিচক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বেশ কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–কর্মীরা উপস্থিত হয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে রাফিকার নাম ঘোষণা করেন। রাফিকা নিজেও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, জয়ের বিষয়ে একশো শতাংশ তিনি আত্মবিশ্বাসী।আব্দুর রাজ্জাককে প্রার্থী হিসেবে মানা হবে না বলে ঘোষণা করা হয় স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের তরফে। এমনকী এই অপছন্দের প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল আগেই। এবার ওই প্রার্থী প্রত্যাহার না করার জেরে বিক্ষুব্ধরা রাফিকাকে প্রার্থী ঘোষণা করল। প্রার্থী ঘোষণা হতেই দলীয় প্রচার শুরু করে দেন রাফিকা। তাতে আরও অস্বস্তি বেড়েছে ঘাসফুল শিবিরে। কারণ সংগঠন আড়াআড়িভাবে ভাগ হয়ে গেল প্রার্থী অপছন্দের নিরিখে। সেক্ষেত্রে প্রচার এবং সংগঠনের শক্তি পৃথক হয়ে গেল। এতে প্রভাব পড়তে পারে ভোটবাক্সে। এই বিষয়ে রাজ্জাক জানান, রাফিকাকে ভুল বুঝিয়ে এই পথে নিয়ে যাচ্ছে দলেরই একাংশ। বরং রাফিকা চলে যাওয়ায় দল বাঁচল। তিনি কোনও কাজই করতেন না। এতে নির্বাচনে কোন সমস্যা হবে না। রাফিকা নির্দল হিসেবে লড়াই করলে আমাদের দল আগামী দিনে আরও শক্তিশালী হবে।