সোনামুখী বিধানসভায় এবারের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন শ্যামল সাঁ💙তরা। এই আসনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপির প্রার্থী দিবাকর ঘরামি। এই কেন্দ্রটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিএমের অজিত রায়।
বাঁকুড়া জেলার উত্তরে ও পূর্বে রয়েছে যথাক্রমে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান। দক্ষিণে রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর। আর দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে হুগলি। এছাড়াও পশ্চিমে পুরুলিয়া জেলা রয়েছে। বাঁকুড়া ও বর্ধমান এই দু’টি জেলাকে পৃথক করেছে দামোদর নদ। বাঁকুড়ার পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভাগের জমি নিচু ও💃 উর্বর পলিমাটিযুক্ত। পশ্চিম ভাগের জমি ধীরে ধীরে উঁচু হয়েছে। এই জেলাতেই রয়েছে সোনামুখী বিধানসভা কেন্দ্র। আগামী ১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায🦩় সোনামুখীতে ভোট হবে।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন বাম প্রার্থী অজিত রায়৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৮৬,১২৫৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দিপালি সাহা৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট 🌃৭৭,൩৪০৬৷ তৃতীয় স্থানে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী দেবযানী রায়৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১৫,১১৮৷
২০১১ সালের নির্বাচনে এই কেন্দ্র ꩲথেকে জিতেছিলেন তৃণমূলের দীপালি সাহা। তাঁর প্রাপ্ত ভোটসংখ্যা ছিল ৮২,১৯৯। দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিআইএমের মনোরঞ্জন চোংরে। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৭৪,৯১০। ২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআইএমের নীরেশ বাগদি সোনামুখী বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের দীপালি সাহাকে পরাজিত করেছিলেন। ২০০১ সালে সিপিআইএমের সুখেন্দু খাঁ তৃণমূল কংগ্রেসের দীপালি সাহাকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৯৬ সালে সিপিআইএমের হারাধন বাউড়ি কংগ্রেসের পুলকেশ সাহা ও ১৯৯১ সালে কংগ্রেসের ষষ্ঠীধর বাগদিকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৮৭ সালে সিপিএমের সুখেন্দু খাঁ কংগ্রেসের কল্লোল সাহাকে হারিয়েছিলেন। ১৯৮২ সালে কংগ্রেসের ষষ্ঠী বাউড়ি ও ১৯৭৭ সালে জনতা পার্টির কানাই সাহাকে পরাজিত করেছিলেন সুখেন্দু। ১৯৭২ সালে কংগ্রেসের গুরুপদ খাঁ ওই আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬৯ এবং ১৯৭১ সালেও সুখেন্দুই ওই আসনটি জিতেছিলেন। সুখেন্দুর আগে ওই আসনে ১৯৬৭ সালে জিতেছিলেন কংগ্রেসের কে. সাহা। অবশ্য ১৯৫৭ সালে সোনামুখী কেন্দ্র কোনও আসন ছিল না। ছিল যৌথ আসন। ১৯৫১ সালে কংগ্রেসের শিশুরাম মণ্ডল ও ভবতারণ চক্রবর্তী উভয়ই সোনামুখী যৌথ কেন্💮দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন।