গোটা প্রচারপর্ব জুড়ে বিজেপির প্রতিটি সভাতেই শোনা যেত চাল চোর, ত্রিপল চোর, কাটমানি সহ নানা অভিযোগ তুলে গলা ফাটাচ্ছেন তাবড় বিজেপি নেতৃত্ব। তৃণমূলকে বিদ্ধ করতে এটাই ছিল বꦏিজেপির বড় হাতিয়ার। খোদ প্রধামন্ত্রীর গলাতেও শোনা গিয়েছে এই সুর। কিন্তু এতসব কিছুর পরেও ইভিএমে তার বিশেষ কোনও প্রভা🉐ব নেই। এমনটাই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। আমফান দুর্নীতির এই যে ভুরি ভুরি অভিযোগ সব যেন উবে গেল ভোটের লাইনে। নাকি সেসব অভিযোগের কথা বেমালুম ভুলে গেলেন আমজনতা?
দুই ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী এলাকা কার্যত বিধ্বস্ত হয়েছিল আমফান ঝড়ে। এরপর ত্রাণের নামে শুরু হয় স্বজনপোষন, কাটমানি। অভিযোগ উঠেছিল এমনটাই। একাধিক তৃণমূল নেতার নামেও ওঠে অভিযোগ। কয়েকজনকে সাসপেন্ডও করে দল। কয়েকজন তৃণমূল নেতা আবার টাকা ফেরৎও দিয়ে দেন। কিন্তু ✅তারপরেও এলাকায় ক্ষোভের পারদ কমেনি। বিজেপিও এই ক্ষোভকে হাতিয়ার করে বাজার গরম করার চেষ্টা করে। কিন্তু ইভিএম খুলতেই দেখা গেল আমফান বিধ্বস্ত এলাকায় তৃণমূলকে দুহাত ভরে ভোট দিয়েছেন বাসিন্দারা। এই এলাকাগুলিতেও বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি বিজেপি। বসিরহাটের হাসনাবাদ, হিঙ্গলগঞ্জ, বাদুড়িয়া. ক্যানিং, পাথরপ্রতিমা🐼 কোথাও বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি বিজেপি। এক্ষেত্রে সাধারণ বাসিন্দাদের দাবি, দুর্নীতি হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু দুয়ারে সরকার, সবুজ সাথী, কন্যাশ্রী সহ বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারের নানা সুবিধা পেয়েছেন বাসিন্দারা। এটাই অনেকটা ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে সহায়তা করেছে শাসকদলকে। যার প্রতিফলন দেখা গিয়েছে ইভিএমে। বিজেপি এলে এই প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাবে এমন প্রচারও সুবিধা করে দিয়েছে শাসকদলকে।