সন্ত্রাস আছে। বোমাবাজি, টক্কর সবই আছে। তবুও সব কিছুকে ছাপিয়ে ভোট মানেই বাংলায় গণতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ উৎসব। এই উৎসবে মন খারাপের ছবি যেমন আছে তেমনি আছে মন ভালো করা মজার কিছু মুহূর্ত। সেই ছবি ধরা পড়ল পূর্ব বর্ধমানের সরাইটিক এফপি স্কুলের একটি বুথে। এই বুথেরই ভোটার স্থানীয় বাসিন্দা সুমন দুল্লভ। ভোট দিতে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু মাস্কﷺ আনতে ভুলে গিয়েছেন। বুথের সামনে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন। কিন্ত মাস্ক ছাড়া দাঁড়ানো কি যুক্তিযুক্ত? চারদিকে করোনার সংক্রমণ ছড়াচ্ছে ক্রমশ। এসবের মধ্য়েই গুটি গুটি পায়ে বুথ চত্বরে ঢোকেন তিনি। এই বুথ থেকে ভোটারদের জন্য মাস্ক বিলির ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্ত সুমনবাবু যখন বুথে পৌঁছন তখন সেই মাস্কও ফুরিয়ে গিয়েছে। অগত্যা মাথায় হেলমেট পরেই বুথে ঢোকেন তিনি।
মাথায় লাল রঙের হেলমেট। তাঁকে দেখে কিছুটা হতচকিত হয়ে যান ভোটাররা। কিন্তু হেলমেট খুলতে তিনি রাজি নন। করোনার সংক্রমণ আটকাতে তাঁর বিশেষ পরিকল্পনা। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল হেলমেট পরে ভোট দিতে কেন? সুমনবাবুর সাফ কথা, মাস্ক আনতে ভুলে গিয়েছি। তাই হেলমেট পরে নিয়েছি। কিন্তু নাক 🎃মুখ তো খোলা? হেলমেটের সামনের কাঁচ দেখিয়ে তিনি বলেন, এটিকে নামিয়ে দেব।
এদিকে ভোটের লাইনে হেলমেট পরা যুবককে দেখে কেন্দ্রীয় বাহনীর চোখেও বিষ্ময়ের ছাপ। গোটা ঘটনায় মুচকি হাসেন অন্যান্য ভোটররা। বুথে কর্মরত আইসিডিএস কর্মী বলেন, সকাল থেকেই মাস্ক বিলি করা হচ্ছিল। কিন্তু সেগুলি ফুরিয়ে গিয়েছে। ফের মাস্ক আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত এর আগে কোচব🐲িহারের নাটাবাড়িতে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে দেখা গিয়েছিল মাথায় হেলমেট পরে ঘুরতে। তিনি অবশ্য করোনা ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে নয়, শিলাবৃষ্টি ও ইটবৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে হেলমেট পরেছিলেন।