শীতলকুচিতে চতুর্থ দফার নির্বাচনের দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিচালনার ঘটনায় তদন্তভার নিয়েছে সিআইডি। এবার সেই তদন্ত কতদূর এগিয়েছে, তার রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি’র কাছে থেকে তদন্তের গতিপ্রকৃতি জানতে চাইল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। আগামী ৫ মে’র মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে। শুক্রবার এই সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত ১০ এপ্রিল শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা হয়। প্রধান বিচারপতি টিবি রাধাকৃষ্ণনের বেঞ্চে মামলাটি দায়ের করেন ফিরদৌস শামিম নামে এক ব্যক্তি। কোন পরিস্থিতিতে সেদিন গুলি চলেছিল, তা জানতে চেয়ে মামলা দায়ের করেন ফিরদৌস শামিম। তাঁর দাবি মূলত তিনটি— এক, ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত চিহ্নিত করে বিচারবিভাগীয় তদন্ত করে শাস্তির ব্যবস্থা করা, দুই, আগামীদিনে অভিযুক্তদের ভোট প্রক্রিয়া থেকে সম্পূর্ণ সরিয়ে দেওয়া এবং তিন, ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য দান। গত ১০ এপ্রিল শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা হয়। প্রধান বিচারপতি টিবি রাধাকৃষ্ণনের বেঞ্চে মামলাটি দায়ের করেন ফিরদৌস শামিম নামে এক ব্যক্তি। কোন পরিস্থিতিতে সেদিন গুলি চলেছিল, তা জানতে চেয়ে মামলা দায়ের করেন ফিরদৌস শামিম। তাঁর দাবি মূলত তিনটি— এক, ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত চিহ্নিত করে বিচারবিভাগীয় তদন্ত করে শাস্তির ব্যবস্থা করা, দুই, আগামীদিনে অভিযুক্তদের ভোট প্রক্রিয়া থেকে সম্পূর্ণ সরিয়ে দেওয়া এবং তিন, ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য দান।|#+|শুক্রবার এই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। আদালত সূত্রে খবর, মাথাভাঙা থানায় এই নিয়ে দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কোন দিকে এগোচ্ছে তার স্ট্যাটাস রিপোর্ট জানতে চাইল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। মামলাকারী ফিরদৌস শামিম জানান, তাঁদের দাবি অনুযায়ী সিআইডি তদন্তে অনুমোদন দিয়েছে আদালত। আগামী ৫ তারিখ বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত তারপরে হবে। হাইকোর্টের পক্ষ থেকে এও জানানো হয়েছে, রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে যেন নিহতদের পরিবারগুলিকে আর্থিক সাহায্যদান করা না হয়। জেলাশাসকের মাধ্যমে অর্থ তুলে দেবে কমিশন।