এতদিন তিনি খেলতেন মাঠের বাইরে থেকে। এবার সরাসরি মাঠে নেমে খেলছেন। তাও আবার গেরুয়া জার্সিতে। একদা তিনি ঘাসফুলের অতীত ‘চাণক্য’ এখন পদ্মাসনে। একুশের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। তাই নির্বাচন কমিশনে হলফনামা দিয়ে মুকুল রায় জানিয়েছেন তাঁর সম্পত্তির বিবরণ।সেই হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২০–২১ অর্থবর্ষে মুকুলের উপার্জন ছিল ৪ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা। তাঁর স্ত্রীর উপার্জন ছিল ৫ লক্ষ ৮৬ হাজার ২৮১ টাকা। আর এখন তাঁর হাতে রয়েছে নগদ ৩৫ হাজার ৭৫২ টাকা। তাঁর স্ত্রীর কাছে আছে ৬৫ হাজার ৭৫৯ টাকা। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অ্যাকাউন্টে মুকুলের নামে গচ্ছিত আছে ৮ লক্ষ ৪৪ হাজার ৩৭৯ টাকা ২২ পয়সা। তাঁর স্ত্রীর নামে দু’টি অ্যাকাউন্টে জমা ২ লক্ষ ৩৩ হাজার ২৫৭ টাকা এবং ১০ লক্ষ ৭ হাজার ২৬ টাকা ৯৬ পয়সা।তাঁর স্ত্রী শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেছেন ২ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা। মুকুল এবং তাঁর স্ত্রীর নামে কোনও গাড়ি নেই। কোনও সোনার গয়নার কথাও উল্লেখ করেননি তিনি হলফনামায়। তবে তাঁর স্ত্রীর নামে ১০৭.৬৬ গ্রাম সোনার গয়না আছে। মুকুলের নামে কোনও জমি নেই। তবে তাঁর স্ত্রীর নামে হালিশহরের বিজপুরে জমি আছে। ২০০৮ সালে ৮ লক্ষ টাকায় কেনা ওই জমির বর্তমান মূল্য ১৫ লক্ষ টাকা। কাঁচরাপাড়া পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে মুকুলের বাড়ি আছে। বসতবাড়িটি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন বলে হলফনামায় দাবি করেছেন তিনি। বাড়িটির বর্তমান বাজারদর প্রায় ৪২ লক্ষ টাকা। উপার্জনের সূত্র বলতে পেনশনের কথা উল্লেখ করেছেন মুকুল রায়। তাঁর স্ত্রী ব্যবসায়ী। তাঁদের কারও নামেই এই মুহূর্তে কোনও ব্যাঙ্কঋণ নেই।উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে মাদুরাই কামরাজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পূর্ণ করেন মুকুল রায়। তাঁর বিরুদ্ধে ১৯টি মামলা চলছে। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে মুকুলের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের কৌশানী মুখোপাধ্যায় এবং সংযুক্ত মোর্চা প্রার্থী কংগ্রেসের সিলভি সাহা।