মঙ্গলবাꦚর ৪১-এ🌟 পা দিলেন করিনা কাপুর। অনেকেই হয়ত জানেন না ২০০০ সালে জে পি দত্তের পরিচালনায় 'রিফিউজি' ছবির মাধ্যমে বলিপাড়ায় ডেবিউ করার আগে কম্পিউটার নিয়ে একপ্রস্থ পড়াশোনা সেরেছিলেন এই বলি-সুন্দরী। আর সেই কম্পিউটার কোর্স যে সে জায়গা থেকে তিনি কিন্তু করেননি। করেছিলেন বিশ্ববিখ্যাত হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে।
ছোটপর্দার জনপ্রিয় চ্যাট শো 'রঁদেভু উইথ সিমি গারেওয়াল'-এ অতিথি হিসেবে হাজির হয়ে গল্প আড্ডার ফাঁকে জীবনের ওই সমায়ের কথা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন করিনা। জানিয়েছিলেন হার্ভার্ড-এ তাঁর কাটানো সময়টাকে 'মজা' হিসেবেই বিবেচনা করা ভালো।𒅌 যদিও মা ববিতা এবং দিদি করিশ্মা তাঁকে বিদেশে এত দূর ছাড়তে চাননি প্রথমে। কিন্তু একꦗপ্রকার জোর করেই নিজের উদ্যোগে হার্ভার্ডের ফর্ম তোলা থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজ একা হাতে সেরেছিলেন 'বেবো'। শেষপর্যন্ত সবকিছু প্রস্তুতি নেওয়ার পর মাইক্রো কম্পিউটার এবং ইনফরমেশন টেকনোলজি পড়ার জন্য এই বিশ্ববিখ্যাত জায়গার উদ্দেশে উড়ে গেছিলেন করিনা।
ঠিক এই প্রসঙ্গে শোয়ের সঞ্চালিকা সিমি বেশ মজা করেই জিজ্ঞেস করেন কাপুর পরিবারের কাছে করিনার এই হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি যাওয়াটা কতটা আনন্দের ছিল? তাও আবার যেখানে পড়াশোনার জন্য গেছিলেন তিনি। সিমির কথা শেষ হতে না হতেই করিনা বলে ওঠেন, 'ওরে বাবা! সে বিরাট ব্যাপার। মনে হয় আমার জীবনে দেখা সবথেকে বিরাট ব্যাপার ছিল সেটা। প্রায় উৎসব বাঁধানোর মত পরিস্থিতি হয়ে গেছিল। মানে ওঁরাও কেউ কোনওদিন ভাবেননি যে কাপুর পরিবারের কেউ হার্ভার꧃্ড পাড়ি দিচ্ছেন পড়াশোনার জন🍃্য। যে যার মত পেরেছিল সবাইকে বলতে শুরু করে দিয়েছিলেন। আমার হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি যাওয়ার বিষয়টির কাছে অস্কারও তুচ্ছ মনে হয়েছিল!' হাসতে হাসতে করিনার ইঙ্গিত তথাকথিত 'কাপুর গার্ল' এর পড়াশোনা আর হার্ভার্ড দুটোই যেন তখন রূপকথার সামিল ছিল।
যদিও এরপরে করিনা জানান যে হার্ভার্ডে কাটা🅘নো সময় আনন্দের হলেও বেশ 'টাফ'-ও ছিল। 'পড়াশোনার ব্যাপারে ওখানে বড্ড কড়াকড়ি। প্রায় প্রতিদিন ভোর সাড়ে চারটে উঠে লাইব্রেরি ছুটতে হাত আমাকে হোমওয়ার্ক, অ্যাসাইনমেন্ট শেষ করার তাগিদে'। অবশ্য কয়েক মাস পর সব ছেড়েছু🧔ড়ে নিজের স্বপ্নপূরণের উদ্দেশেই বলিপাড়ায় পা রেখেছিলেন করিনা। বাকিটুকু ইতিহাস।