বলিউডে বহু বছর ধরেই আওয়াজ উঠেছে যে সমান পরিশ্রম করা সত্বেও ছবিতে অভিনেত্রীদের তুলনায় অভিনেতারা অনেকটাই বেশি টাকা পান। সেই অভিনেতা যদি পরবর্তী সময় ত🎐ারকার পর্যাতেও উন্নীত হন, তারপরেও নাকি ছবিটা একই থাকে। অর্থাৎ একটি বড় বাজেটের ছবিতে একজন নায়ক যে পারিশ্রমিক পান, ♐সেই একই ছবির নায়িকা তার তুলনায় অনেকটাই কম পারিশ্রমিক পান। কঙ্গনা রানাওয়াত থেকে তাপসী পান্নু অনেকেই এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে সোচ্চার হয়েছেন।
তবে অনেক জনপ্রিয় বলি-নায়কদের মুখে কিন্তু শোনা গেছে পুরোপুরি 'উল্টা পুরাণ'। উদাহরণস্বরূপ ধরা যাক অভিষেক বচ্চন কথা। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত হওয়া এক অনুষ্ঠানে সুজিত সরকারকে এই প্রসঙ্গে অভিষেক জানিয়েছিলেন তিনি꧋ এবং তাঁর স্ত্রী ঐশ্বর্য একসঙ্গে কাজ করেছেন ৯টি ছবিতে। এর মধ্যে ৮টি ছবিতেই অভিষেকের তুলনায় ঐশ্বর্যের পারিশ্রমিকের অঙ্কটা অনেকটাই বেশি ছিল! শুধু তাই নয় এরপর এই কথার জের টেনে অভিষেক আরও বলেন,' পিকু' ছবিতে দীপিকার সঙ্গে কাজ করেছিলেন অমিতাভ বচ্চন এবং ইরফান খানও। কিন্তু সবথেকে বেশি টাকা পেয়েছিলেন দীপিকাই!' যুক্তি হিসেবে 'জুনিয়র বচ্চন' বল🌱েছিলেন যে দিনের শেষে এই ছবির ব্যবসায় যে বেশি 'বিক্রয়যোগ্য' তাঁর 'মূল্য' তত বেশি। অর্থাৎ তিনি বোঝাতে চেয়েছিলেন বক্স অফিসে যাঁর কাটতি যত বেশি তাঁর পারিশ্রমিকও স্বাভাবিকভাবেই তত বেশি অন্যদের তুলনায়। তাই একজন নতুন অভিনেত্রী হিসেবে কেউ কিছুতেই শাহরুখ খানের মতো সমান অঙ্কের পারিশ্রমিক দাবি করতে পারেন না!
উল্লেখ্য, অভিষেক এবং ঐশ্ব🌱র্য 'ঢাই অক্ষর প্রেম কে','গুরু','রাবণ','ধুম ২','সরকার রাজ','উমরাও জান','বান্টি ঔর বাবলি'-র মতো বিভিন্ন ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন।