আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদের আগুন জ্বলছে গোটা রাজ্যে। দল-মত নির্বিশেষে ঘটনার প্রতিবাদে প﷽থে নেমেছেন অনেকেই। বিরোধী রাজনৈতিক দলের সমর্থকরাও যেমন প্রতিবাদ করছেন, ঠিক তেমনই কিছু প্রতিবাদ 'অরাজনৈতিক' ভাবেও হচ্ছে। অর্থাৎ কোনও রকম রাজনৈতিক দলের ছাতার তলায় না দাঁড়িয়ে নিরপেক্ষভাবে ঘটনার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়🌃েছেন অনেকেই। এই পরিস্থিতিতে নিজস্ব মতামত তুলে ধরলেন অভিনেতা জিতু কমল।
কী লিখছেন জিতু?
লম্বা পোস্টে জিতু কমল লিখেছেন, ‘শুধুমাত্র ফেসবুকে বিপ্লব না করে,রা♔স্তায় নেমে বিপ্লবটা করা উচিত। যেটা আমি আগেও করেছি। আমি একেবারেই অরাজনৈতিক নই।যারা অরাজনৈতিকভাবে লড়াইটা করতে চাইছেন তাদেরকে আমি সম্মান করছি বারে বারে। আমার মনে হয় খাদ্য আন্দোলনের পর এত সংখ্যক মানুষ এই প্রথম রাস্তায় নেমেছে।’
মানুষে💝র এই কিছু প্রশ্ন তুলে আবার তার উত্তরও নিজেই দিয়েছেন জিতু। লিখেছেন, ‘তার মানে সবাই তৃণমূল বিরোধী? সবাই রাতারাতি সিপিএম হয়ে গেল? এমনটা কিন্তু নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্যপ্রণালী সঠিক হচ্ছে না, তার জন্য আমরা অপসারণ চাইছি। একদম ঠিক, যদি কেউ নিজের দায়িত্ব পালন না ꧅করে তাহলে তো তাঁর দায়িত্ব থেকে সরানোর দায়িত্বটাও মানুষের।’
ফের লিখেছেন, ‘সেই দায়িত্ব মানুষ পালন করেছে গত ১৩ বছর ধরে? তার মানে মানুষ ভুল? প্রশ্ন করুন তো। ১৪ তারিখ রাত্রে যারা রাস্ত༒ায় নেমেছিল তাদের ৯০ শতাংশ মানুষ কিন্তু তৃণমূলকে ভো🍸ট দিয়ে জিতিয়ে এনেছেন। লোকসভা ভোটের আগে যে পরিমাণ লোক বাম গণসংগঠনের ডাকে ব্রিগেড ময়দান ভরিয়েছিল, তারা প্রত্যেকে সিপিএমে ভোট দিয়েছিল? প্রশ্ন করুন।’
জিতুর কথায়, ‘তাই মুখে বাম-রাজনীতিতে বিশ্বাসী বলে অথচ সম্পূর্ণভাবে পল্টিবাজ। তাদের চিহ্নিত করুন। (যারা স্বাস্থ্যসাথী থেকে কন্যাশ্রী সমস্ত তৃণমূল সরকারের প্রকল্প গুলোর সুযোগ নিয়ে চলেছে প্রতিনিয়ত, কিন্তু মুখে ভাতা বিরোধী স্লোগান) অরাজনৈতিক তো গুটিকয়েক লোক আছে এখন,তাই না? যারা কিনা চটিচাটা। তাহলে♐ যারা চটিচাটা নয় তারা ১৪ তারিখ রাত্রে সিপিএমের ফ্ল্যাগ হাতে নামলো না কেন? তারা তো রাজনৈতিক।প্রশ্ন করুণ। সফট টার্গেটকে টার্গেট না করে, সম্পূর্ণ জনসমষ্টিকে টার্গেট করুন।’