নব্বইয়ের দশকে ভারতীয় ছোটপর্দার ইতিহাসে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল 'শক্তিমান'।ভারতীয় দূরদর্শন চ্যানেলে প্রচারিত হত ‘শক্তিমান’। মুখ্য চরিত্রে ছিলেন মুকেশ খান্না। প্রতি রবিবার টিভির সামনে বসে পড়ত কচিকাঁচারা। বাদ যেত না তাঁদের অভিভাবকরাও। মুখ্যভূমিকায় ছিলেন মুকেশ খান্না। টানা সাত বছর ধরে এই ধারাবাহিক সম্প্রচারিত হয়েছিল। এ🦄বার💞ে শক্তিমান ও মার্ভেল সুপারহিরোদের তুলনা টানলেন মুকেশ খান্না নিজেই!
সোনি পিকচার'স ইন্ডিয়ার টুইটার পেজ থেকে হয়েছে অফিসিয়াল অ্যানাউন্সমেন্ট। ভারতের সবচেয়ে চর্চিত সুপারম্যান ‘শক্তিমান’-র সিনেমা বানানোর স্বত্ত্ব কিনে নিয়েছে সোনি পিকচারস। ট্রিলজি হতে চলেছে এই প্রোজেক্ট। ছবিতে মুখ্য চরিত্রে কাজ করার কথা রয়েছে বলিউডের এক ‘এ’ লিস্টার সুপা✃রস্টারের। পরিচালনার দায়িত্বেও থাকবে নামি মুখ। তবে ওটিটি না প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে এটি তা এখনও জানায়নি সোনি পিকচারস।
ব্রুট ইন্ডিয়া-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মুকেশ খান্না বলছেন, 'শক্তিমানের সঙ্ꦬগে যদি আয়রন ম্যান, স্পা꧙ইডার ম্যান কিংবা সুপারম্যানের তুলনা করা হয়, তাহলে দেখা যাবে এমন অনেক কিছুই আছে যা ওঁরা পরে না। কিন্তু শক্তিমান সব পারে। অ্যাভেঞ্জার্স-দের মতোই।' সামান্য থেমে তিনি আরও বলেন যে বহু মাসনুষ তাঁকে বলেছে যে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শক্তিমানের শক্তির মাপকাঠি আরও বাড়ানো উচিত। অ্যাভেঞ্জার্সদের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মতো যেন হয়। সেই প্রসঙ্গে মুখেশ বলছেন, 'জানিয়ে রাখি, যেহেতু ব্রহ্মাণ্ডের মূল পঞ্চভূত তত্বই শক্তিমানের অতিমানবীয় শক্তির উপাদান, তাই ওঁর কাছে সব ধরনের সুপার পাওয়ার রয়েছে।'
প্রসঙ্গত, ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭ তারিখ থেকে ২৭ মার্চ ২০০৫ পর্যন্ত ডিডি ন্যাশনাল এটি প্রচারিত হয়েছিল।ꩲ এটি পরে পোগো তে ইংরেজিতে, তরঙ্গ টিভিতে ওড়িয়া ও চুট্টি টিভিতে তামিল ভাষায় সম্প্রচারিত হয়। আর শক্তিমানের ব্যাপারে নতুন করে বলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই নিশ্চয়ই? তবে পুরনো স্মৃতিই একবার ঝালিয়ে দেই। গঙ্গাধর নামের এক ছাপোষা মানুষ কাজ করে সংবাদপত্র অফিসে। তবে সাধারণকে বাঁচাতেই সে ফিরে যায় নিজের আসল রূপ আর শক্তিতে, শক্তিমানের। বিপদের মোকাবেলা করে বাঁচিয়ে আনে সকলকে।