মাত্র ২৪ বছর বয়সেই বিয়ে করে নিয়েছিলেন ‘পেহলা নশা’ গানে ﷽গোটা দেশের ঘুম ওড়ানো পূজা বেদী। যদিও বেশিদিন টেকেনি সেই বিয়ে, সাত পাকে বাঁধা পড়বার ৯ বছর পর ২০০৩ সালে ডিভোর্স হয়ে যায় পূজা ও ফারহান ফার্নিচারওয়ালার। মেয়ে আলিয়া ও ওমরকে একা হাতে বড় করেছেন পূজা। নিজের ব্ꦉযক্তিগত জীবন নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন পূজা।
কবীর বেদী কন্যা জানান, ডিভোর্সের সময় বহু মানুষ তাঁকে উপদেশ দিয়েছিলেন বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত বদলে ফেলতে। ছেলেমেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবার কথা বলা হয়েছিল পূজ⭕াকে। তবে তিনি নিশ্চিত ছিলেন, ফারহানের সঙ্গে কোনওভাবেই এই ♒সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা সম্ভবপর নয়।
পেপিংমুন-কে দেওয়া সাক্ষাত্কারে পূজা বলেন, যখন বিয়ে ভাঙে তখন সেটা নিয়ে সমাজের কিছু নির্দিষ্ট মান🀅সিরতা রয়েছে, আর সেইসময় তো মানে ধরুন আজ থেকে ১৮ বছর আগে সেটা আরও মারাত্মক ছিল। মানে বিয়ে ভেঙে জীবনে এগিয়ে চলাটাকে সকলেই একটা বিশাল কিছু ভেবে নিত। বলত, কে বিয়ে করবে আবার? ছেলেমেয়েদের কথা তো ভাবো। শুধু নিজের কথা কেন ভাবছো? তুমি তো একা নও, তোমার সঙ্গে বোঝা রয়েছে। আমার ছেলেমেয়েকে বোঝা বলা 🗹হয়েছিল। আমিও পালটা বলেছিলাম ওরা আমার সম্পদ'।
পূজ♔া নিজের বাবার উদাহরণ টেনে বলেন, আমার জন্য হয়ত আমি যেভাবে বড় হয়েছি সেটাও প্রভাব ফেলেছে। আমি বড় হয়েছি এমন পরিবারে যেখানে বাবা-মা'র বিয়ে ভেঙেছে। আমি বিশ্বাস করেছি হ্যাঁ, আবার ভালোবাসার খোঁজ পাওয়া যায়। আমার বাবা জীবনে চার বার বিয়ে করেছে'। তবে বাবা-মা দুজনেই তাঁদের জীবনের সঙ্গে জুড়ে রেখেছেন পূজাকে, সে কথাও জানাতে ভোলেননি পূজা।
১৯৭৪ সালে প্রতিমা গুপ্তার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছিল কবীর বেদীর। তাঁদের একমাত্র সন্তান পূজা বেদী। পরবর্তীতে সুসান হামফ্রেজকে বিয়ে করেন কবীর। সালটা ১৯৮০। দশ বছর পর সেই বিয়ে ভাঙার দু বছর পর নিকি বেদীকে বিয়ে করেন বলিউড ছবির এই জনপ্রিয় ভিলেন। নিকির সঙ্গে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদ হয় ২০০৫ সালে। এরপর পরভিন দুসাঞ্জের সঙ্গে ꦯপ্রেম শুরু কবীর বেদীর। ২০১৬ সালে নিজের ৭০তম জন্মদিনে পারভিন দুসাঞ্জকে বিয়ে করেন কবীর।
পঞ্চাশের গণ্ডি পার করা এই নায়িকা আবারও জীবনে প্রেম খুঁজে পেয়েছেন। গোয়াস্থিত ব্যবসায়ী মানেক কন্ট্রাক্টরের সঙ🍬্গে ২০১৯-এর ফেব্রুয়ারিতে আংটি বদল সেরেছিলেন পূজা। এখন বেশিরভাগ সময়টাই হবু বরের সঙ্গে গোয়ায় কাটান নায়িকা।